বঙ্গ রাজনীতি গরম হয়ে রয়েছে নদিয়ার হাঁসখালিতে ধর্ষণ (Hanshkhali Rape) করে খুনের অভিযোগে। বন্ধুর জন্মদিন পার্টিতে গিয়ে নির্যাতিতা হয় নাবালিকা। জীবিত অবস্থায় নির্যাতিতাকে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল নাকি মৃত্যুর পরেই তাকে দাহ করা হয়েছে? তার সদুত্তর কারোর কাছেই নেই।
বিজেপির পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের একটি টিম পাঠানো হয়েছিল হাঁসখালিতে। সেই টিম বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে রিপোর্ট দিয়েছে। সেখানে তারা সন্দেহ প্রকাশ করা হয় নির্যাতিতা নাবালিকাকে জ্যান্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়নি তো?
রিপোর্টে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি বলেছে, পুলিশের ওপর আস্থা নেই বাংলার মানুষের। আশা করা যায় সিবিআই তদন্তে সত্য সামনে আসবে। গত সাত থেকে দশ দিনে বাংলায় ৩০টি নারী নির্যাতনের ঘটনা বারংবার সামনে এসেছে। ৩৫৫,৩৫৬ ধারায় উত্তর চায় সাধারন মানুষ। এরকম পরিবেশে বাংলার চপ মুড়ি শিল্প ছাড়া আর কোনও শিল্পই আসা সম্ভব নয়।
সম্প্রতি নদিয়ার হাঁসখালি নাবালিকা ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের ভার দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এরপর থেকেই সামনে আসছে একাধিক নয়া তথ্য। অভিযোগ উঠেছে হুমকি দেওয়ার। প্রশ্ন উঠেছে হুমকি কারা দিল? মেয়েকে হাসপাতালে বা থানায় নিয়ে যেতে পারেনি কেন পরিবার? কারা বাড়ির বাইরে পাহারায় দাঁড়িয়েছিল? চলছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত? গ্রামবাসীদের জিজ্ঞাসাবাদ বারংবার শ্মশানে গিয়ে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। ফরেনসিক টিম একাধিকবার পৌঁছেছিল ঘটনাস্থলে।
গ্রেফতার হয়েছে এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস নেতার পুত্র মূল অভিযুক্ত ও তার বন্ধু। রবিবার এক গ্রামবাসী জানিয়েছিলেন, যেদিন ঘটনাটি ঘটেছে সেদিন রাত ১০টা নাগাদ তিনি মাঠ থেকে ফিরছিলেন। দেখেছিলেন তিন থেকে চারজন ছেলে দাঁড়িয়ে রয়েছে। জিজ্ঞেস করলে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়। কিন্তু তারা কারা, তা তিনি জানাতে পারেননি।