প্রায় প্রতিদিন নিয়ম করে বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছে ধর্ষণের (rape) খবর। যেন তা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। আর এরপরই প্রশ্ন উঠছে নারী সুরক্ষা নিয়ে।
সম্প্রতি নদিয়ার হাঁসখালিতে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের পর প্রমাণ লোপাটের জন্য রাতারাতি তাঁকে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এখনও জানা যায়নি যে, তাঁর আদৌ মৃত্যু হয়েছিল কিনা। নাকি তাঁকে জ্যান্ত অবস্থাতেই পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল! আর এর মধ্যেই আবারও জানা গেল আশা কর্মীকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টা করা হয়েছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, বাংলা বছরের প্রথম দিন দার্জিলিংয়ের মকাইবাড়ি লাকা এলাকায় ডিউটি সেরে গাড়ি চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন এক আশা কর্মী। অভিযোগ উঠেছে, গাড়িতে অন্য কেউ না থাকায় তাঁকে ধর্ষণ করে গাড়ির চালক। এরপর ওই নির্যাতিতাকে পাহাড়ি রাস্তার ধারে গাড়ি থেকে ফেলে দেয় অভিযুক্ত। নির্যাতিতা মহিলাকে রাস্তা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এবং তাঁর চিকিৎসা ব্যবস্থার দ্রুত চেষ্টা করা হয়।
আর এর পরেই এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানায় আশা কর্মীরা। কোতোয়ালি থানায় স্মারক লিপি জমা দেয় তারা। আশা কর্মীদের সংগঠনের সভাপতি জানিয়েছেন, ওই আশা কর্মীকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টা করা হয়েছে। আর এই ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত। কারণ প্রায়শই মাদার স্কট করে গাড়িতে একা একা ফিরতে হয় অনেক আশা কর্মীকে। আমরা বর্তমানের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
প্রসঙ্গত, একের পর এক ধর্ষণ কাণ্ডের ঘটনায় গোটা রাজ্যজুড়ে উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়। রাজ্যে সরকারের বিরূদ্ধে পথে নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছে বিরোধীরা।