Birbhum: অনুব্রত নেই বেহাল দল, আদিবাসীদের তাড়ায় দেউচা থেকে পালালো তৃণমূল

তৃণমূল কংগ্রেসের অতি শক্তিশালী ঘাঁটি (Birbhum) বীরভূম। সেখানেই রাজ্য সরকারের জমি অধিগ্রহণ নীতি ও ক্ষতিপূরণ দেওয়া ঘিরে প্রবল আদিবাসী বিক্ষোভ। এই বিক্ষোভের মুখে পড়ে সরকারি…

তৃণমূল কংগ্রেসের অতি শক্তিশালী ঘাঁটি (Birbhum) বীরভূম। সেখানেই রাজ্য সরকারের জমি অধিগ্রহণ নীতি ও ক্ষতিপূরণ দেওয়া ঘিরে প্রবল আদিবাসী বিক্ষোভ। এই বিক্ষোভের মুখে পড়ে সরকারি কর্মচারি ও টিএমসির নেতারা পালালেন দেউচা পাঁচামি থেকে। এখানেই রাজ্য সরকার প্রস্তাবিত খনি এলাকার জন্য জমি নিতে চায়।

আসন্ন বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেউচা পাঁচামি খনি এলাকাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চলেছেন। তবে তার আগেই বীরভূমের এই এলাকা আদিবাসী বিক্ষোভে উত্তাল। জমি দেব না বলে দিয়েছেন আদিবাসীরা।

তৃণমূল কংগ্রেস বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল গোরু পাচার মামলায় সিবিআই জেরার ঠিক আগে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তিনি জেলায় না থাকায় দলীয় নেতা কর্মীরা বেহাল। এদিন সেই বেহাল ছবি ধরা পড়েছে দেউচা পাঁচামিতে।

এই খনি তৈরির জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পাঁচামীতে জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দেন জমি দাতাদের চাকরি দেবেন। সোমবার কয়লা খনির জন্য চাকরির নিয়োগ পত্র দেওয়ার একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বীরভূম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সেই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেউচা পাঁচামিতে ঢোকার চেষ্টা করেন তৃণমূল কর্মীরা। তার জন্য তারা জমায়েতও করেন।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কোনওভাবেই তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের প্রতিশ্রুতি বিশ্বাসযোগ্য নয়। ফলে বিক্ষোভ চলছেই। সোমবার অবরোধের মুখে পড়ে গ্রামে ঢুকতে পারেনি সরকারি কর্মী ও টিএমসি নেতারা। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের দেখে তাদের দিকে তেড়ে যান আদিবাসীরা। পালাতে বাধ্য হয় তৃণমূল নেতারা। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে এলাকা থেকে অনুষ্ঠান না করেই খালি হাতে ফিরতে হয় জেলা শাসক, বীরভূমের পুলিশ সুপার সহ অধিকারিকদের। 

প্রস্তাবিত কয়লা খনির বিরোধিতা করছেন আদিবাসীরা।তারা স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে তারা কয়লা খনির জন্য তাদের নিজেদের জমি রাজ্য সরকারের হাতে তুলে দেবেনা।