এ এক অদ্ভূত গ্রাম। যেখানে কোনও পুরুষের নেই প্রবেশ। তবুও মহিলারা হন গর্ভবতী, জন্ম দেন সন্তানের। কেনিয়ার শ্যামবুরু এলাকার উমোজা নামক গ্রাম। ( Offbeat story ) যেখানে প্রায় কয়েক দশক ধরে এমনই রীতি চলে আসছে বছরের পর বছর। ভাবলেই কেমন আশ্চর্যলাগে, তাই না? তবে এমনই চিত্র উমোজা গ্রামের।
একসময় লন্ডন টু ক্যালকাটা দীর্ঘ বাসরুট ছিল
সালটা ১৯৯০। ( Offbeat story ) ১৫ জন স্থানীয় আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। তারপরেই সেই ধর্ষিতা মহিলারা সমাজ বিচ্যুত হয়ে এই গ্রামে এসে বসতি গড়ে তোলেন। পাশাপাশি এখানে পুরুষদের হিংসার শিকার হওয়া বিভিন্ন মহিলারা এসে একসঙ্গে বসবাস করতে শুরু করেন। কেউ হয়তো ধর্ষণের শিকার, কেউ বাল্যবিবাহের শিকার, কেউ গার্হস্থ্য হিংসার শিকার, তাঁরা সকলেই হাতে হাত ধরে এক সমাজ গড়ে তোলেন। যে সমাজ শুধু মহিলাদের। যেখানে পুরুষদের কোনরকম প্রবেশাধিকার নেই। বর্তমানে এই গ্রামে প্রায় আড়াইশো মহিলা বসবাস করেন। তাহলে এখানে প্রশ্ন, এই গ্রামের মহিলারা কী করে সন্তানের জন্ম দেন? তার উত্তরেও আছে নারী স্বাধীনতার আসল রহস্যটি। নিজের সঙ্গীকে বেছে নেওয়ার জায়গা।
১০০ গ্রামের চায়ের দাম ১ কোটি ৫০ লক্ষ
এই গ্রামের মহিলারা গ্রাম থেকে বেরিয়ে নিজের পছন্দের ( Offbeat story ) পুরুষটিকে খুঁজে নেন এবং সেই পছন্দের পুরুষের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হন। তারপর তাঁরা গর্ভধারণ করেন এবং সন্তানের জন্ম দিয়ে থাকেন। এখানে কোনওরকম সম্পর্ক, বিবাহ, সম্পর্কের আড়ষ্টতা নেই। কেবল সন্তান উৎপাদনের জন্য এবং যৌনসুখের কারণে এই গ্রামের মহিলারা পুরুষ সঙ্গীকে বেছে নেন।
রাজপথে মল্লিকদের জেব্রা গাড়ি দেখে চোখ ছানাবড়া সাহেবদের, এ যে ব্রিটেনের রানিরও নেই
এই গ্রামটিতে প্রাইমারি স্কুলও রয়েছে। রয়েছে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র । এছাড়া এই গ্রামে দর্শনীয় স্থান আছে একাধিক। সেগুলি পরিদর্শন করতে আসেন পর্যটকেরা। সেই পর্যটকদের খরচের ওপর নির্ভর করেই এই গ্রামের বেশিরভাগ মানুষের জীবিকা নির্বাহ হয়। পর্যটকরা যে টিকিট কেটে এই গ্রামে ঢোকেন এবং গ্রামের বিভিন্ন অংশ পর্যবেক্ষণ করেন, দেখেন, ইতিহাস জানেন, সেই পর্যটকদের কাটা টিকিটের দাম থেকেই এই গ্রামের মানুষের হাতে অর্থ আসে।
কিন্তু এ যেন এক পুরুষতান্ত্রিক সমাজের কাছে নারীবাদের আদর্শ উদাহরণ। এর থেকেই আবারও প্রমানিত হয়। নারীরা চাইলে গোটা সমাজকে পারে বদলাতে।