Boomslang: একেবারে ভীতুর ডিম কিন্তু তীব্র বিষধর, ছদ্মবেশী এই সাপ এক বিস্ময়

ছদ্মবেশী ভয়ংকর সাপ (Boomslang) বুমস্লাং, সামনে থাকলেও বোঝা যায়না। গাছের সঙ্গে মিশে থাকে ভয়ংকর সুন্দর এই সাপটি। কাছে না গেলে অনেক সময় সাপ আছে বলেই…

boomslang

ছদ্মবেশী ভয়ংকর সাপ (Boomslang) বুমস্লাং, সামনে থাকলেও বোঝা যায়না। গাছের সঙ্গে মিশে থাকে ভয়ংকর সুন্দর এই সাপটি। কাছে না গেলে অনেক সময় সাপ আছে বলেই বোঝা যায় না। তবে দেখতে এই অত্যন্ত সুন্দর এই সাপ পৃথিবীর সবচেয়ে বিষধর সাপগুলির মধ্যে একটি। এদের মাত্র এক ছোবলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে মৃত্যু হতে পারে। এই সাপ গুলি দেখতে পাওয়া যায় আফ্রিকান অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে।

আফ্রিকায় এই সাপগুলোকে সাধারণত ট্রি স্নেক বলা হয়। যার অর্থ হলো গেছো সাপ। সাধারণত গাছে গাছেই জীবন কাটায় বলে এই সাপগুলোকে এমন নাম দিয়েছে আফ্রিকানরা। এই সাপের গায়ের রং অনেক রকমের হয়ে থাকে। তবে প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ সাপের গায়ের রং সবুজ আর নারী সাপের গায়ের রং হলদে ও কালো মেশানো। বুমস্লাং সাপের গায়ের রং পরিবর্তনশীল তাই এদের রহস্যময় ভাবা হয়। অনেক সময় পুরুষ সাপের দূর থেকে চেনা যায় না। এদের গায়ের রং সবুজ হওয়ার কারণে গাছের পাতার সঙ্গে মিশে থাকে। তবে কাছে গেলেই দেখে বুঝতে পারবেন এটি এক ভয়ঙ্কর সাপ।

আফ্রিকার সবচেয়ে বিষধর এই সাপের মাথা গোলাকার ডিমের মতো। এই সাপের চোখ গুলো অন্যান্য সাপের তুলনায় অনেক বড়। বিজ্ঞানীদের মতে, এই সাপের দৃষ্টিও অনেক বেশি। চলার সময় এরা মাথা নাড়িয়ে নাড়িয়ে চলাফেরা করে। সাধারণত এরা চারিদিকটা ভালো করে দেখে নেয়। জীবনের বেশিরভাগ সময়টা এরা গাছের উপরে কাটিয়ে দেয়। তবে খাবারের খোঁজে এবং রোদ পোহানোর জন্য এরা মাটিতে নেমে আসে।

গাছের মধ্যে একটি জায়গায় ঘাপটি মেরে বসে থাকে এরা। তারপর খাবারের সন্ধান পেলেই তা ধরে নিয়ে পেট ভরায়। গাছের মধ্যে এমন ভাবে এরা থাকে দেখলে একনজরে তাদের চেনাই যায় না। এরা যখন যেমন পরিবেশে থাকে ঠিক সেই ভাবেই নিজেদের গুটিয়ে নেয়। মূলত শিকার করার জন্যই এরকম রূপ ধারণ করে বুমস্লাং।

ইন্টারনেটের তথ্য অনুযায়ী এই সাপ পৃথিবীর সবচেয়ে বিষধর সাপ গুলির মধ্যে একটি। এদের দাঁতে রয়েছে অত্যন্ত প্রাণনাশ বিষ। মানুষ কিংবা অন্য কোনও প্রাণীকে ছোবল দিলে তার পরিণতি হয় ভয়ংকর। বুমস্লাং মানুষের শরীরের রক্ত জমাট বাঁধিয়ে দেয় এবং মস্তিষ্কে রক্ত ক্ষরণ করে। এর ফলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে মৃত্যু হতে পারে কামড়ানো ব্যক্তির।

তবে অন্যান্য সাপের মতো এই সাপও অযথা আক্রমণ করে না। এরা অত্যন্ত নিরীহ। নিজের থেকে বড় কোনও প্রাণীকে দেখলে এরা পালিয়ে গিয়ে আত্মরক্ষা করে। তবে তাকে যদি কেউ বিরক্ত করে তখন এরা ভয়ংকর রূপ ধারণ করে। মাথা এবং চোখ ফুলিয়ে ভয় দেখায়। তারপর শুরু করে আক্রমণ। তবে দক্ষিণ এশিয়ায় এই সাপের দেখা পাওয়া যায় না। আফ্রিকার রুক্ষ পরিবেশই এদের বসবাসের জন্য উপযুক্ত।