তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে বার বার সরব হয়েছিলেন তৃণমূল নেতা হুমায়ুন কবির (Humayun-Abhishek)। এমনকি নিজের সংখ্যালঘু দল করবেন বলেও জল্পনা তৈরী হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। একটা সময় সত্যি মনে হয়েছিল হুমায়ুন দল ছাড়বেন। কিন্তু সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আজ হুমায়ুন বৈঠক করলেন তৃণমূল সেনাপতি অভিষেকের সঙ্গে।
হুমায়ুন তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছেন “আজ আমাদের বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়কগণ ও নেতৃত্বদের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠক করলেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক শ্রী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়।”
এবং বৈঠকের শেষে তুললেন ঝকঝকে ছবি। লোকসভার নেতৃত্ব পাওয়ার পর থেকেই অভিষেক বন্দোপাধ্যায় অনেক বেশি চনমনে। তাই দলের অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্ব মেটাতে তিনি বদ্ধপরিকর। এর আগেও বৈঠক করে কল্যাণের অভিমান ভাঙিয়েছেন অভিষেক। লোকসভার প্রধান হুইপ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়েন কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়।
ঠিক তার একদিন পরেই দলীয় কার্যালয়ে তার সঙ্গে বৈঠকে করেন অভিষেক। এবং সফল বৈঠক করে কল্যাণ বনাম তৃণমূলের বরফ গলান। আজ ক্যামাক স্ট্রিটে ঠিক এক ই অস্ত্রে ঘায়েল করলেন হুমায়ুন কে। বৈঠকে সমঝোতা হল তৃণমূল এবং হুমায়ুনের এবং বলা যেতে পারে দলের ভিতরকার খামতি কিছুটা হলেও ভরাট করলেন অভিষেক তার এই রাজনৈতিক ব্রহ্মাস্ত্র প্রয়োগ করে।
হুমায়ুন কবিরের সাম্প্রতিক মন্তব্য এবং দলের বিরুদ্ধে তাঁর সরব অবস্থান তৃণমূলের জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠেছিল। তাঁর সম্ভাব্য দলত্যাগের জল্পনা দলের সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কের উপর প্রভাব ফেলতে পারত। তবে, অভিষেকের এই সমঝোতা দলের ঐক্যের একটি শক্তিশালী বার্তা দিয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, অভিষেকের এই পদক্ষেপ তৃণমূলের সাংগঠনিক শক্তি বাড়াবে এবং আগামী নির্বাচনে দলকে আরও সুসংহত করবে।
সামাজিক মাধ্যমে এই বৈঠকের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে হুমায়ুন এবং অভিষেকের হাসিমুখে ছবি দলের সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ সৃষ্টি করেছে। তবে একথা স্পষ্ট বলা যায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে সর্বক্ষত্রে নতুন উদ্দম নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছে শাসক দল। তার সঙ্গে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় নতুন পদ পেয়ে দলের ভিতরকার ঢিলেঢালা ভাব কাটিয়ে লড়াইয়ের ময়দানে নামতে চাইছেন।
তৃণমূল কার্যত চাইছে ভোটের আগে অন্যের ঘরে উঁকি না দিয়ে নিজের ঘর সামলাতে কারণ দলের অভ্যন্তরের এই পারস্পরিক কলহ তার ছাপ রেখে যেতে পারে নির্বাচনের ফলে।