টোল প্রতি খরচ মাত্র ১৫ টাকা! FASTag-এর বাৎসরিক পাসের ঘোষণা করল সরকার, বাঁচাবে সময়

ঘন ঘন হাইওয়ে যাতায়াতকারীদের জন্য একটি ফাস্টট্যাগ-ভিত্তিক (FASTag) বাৎসরিক পাস চালুর ঘোষণা করল জাতীয় সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রক (MoRTH)। এই পাস কেবলমাত্র নন-কমার্শিয়াল অর্থাৎ…

Government Announces FASTag-Based Annual Pass for Highway

ঘন ঘন হাইওয়ে যাতায়াতকারীদের জন্য একটি ফাস্টট্যাগ-ভিত্তিক (FASTag) বাৎসরিক পাস চালুর ঘোষণা করল জাতীয় সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রক (MoRTH)। এই পাস কেবলমাত্র নন-কমার্শিয়াল অর্থাৎ ব্যক্তিগত ব্যবহারের গাড়ি, জিপ এবং ভ্যানের জন্য প্রযোজ্য হবে। সরকারের এই নতুন উদ্যোগের লক্ষ্য, প্রতি ট্রিপে টোল কাটার জন্য লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা থেকে যাত্রীদের মুক্তি দেওয়া এবং একটানা ও সাশ্রয়ী যাত্রার সুবিধা দেওয়া।

FASTag পাসের মূল্য ও বৈধতা

পরিবহনমন্ত্রী নিতিন গডকড়ি এক্স (পূর্বনাম টুইটার)-এ এক পোস্টে এই ঘোষণা করেছেন। তিনি জানান, এই বাৎসরিক পাসের মূল্য ধরা হয়েছে ৩,০০০ টাকা। এটি ২০০টি টোল পারাপার অথবা এক বছরের জন্য বৈধ থাকবে, যেটি আগে শেষ হবে সেটাই প্রযোজ্য। প্রতিটি টোল পার হওয়াকে এক ট্রিপ (FASTag) হিসাবে গণ্য করা হবে। অর্থাৎ, একজন যাত্রী ২০০টি টোল প্লাজা পার হতে পারবেন এই পাস ব্যবহার করে। Rajmarg Yatra App, NHAI এবং MoRTH-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে এই পাস রিনিউ সহ সংশ্লিষ্ট যাবতীয় পরিষেবা পাওয়া যাবে।

   

রাত পোহালেই ভারতে লঞ্চ হচ্ছে MG M9 ইলেকট্রিক MPV, দাম হতে পারে প্রায় ৬৫ লাখ

৬০ কিমি সীমার মধ্যে টোল প্লাজার সমস্যার সমাধানে নতুন নীতি

মন্ত্রী জানান, এই নীতি দীর্ঘদিন ধরে থাকা একটি সমস্যা, যেখানে ৬০ কিমি দূরত্বের মধ্যে একাধিক টোল প্লাজা থাকায় যাত্রীদের অধিক টোল দিতে হত, তার সমাধান করবে। একবারে একটি সাশ্রয়ী পেমেন্টের মাধ্যমে পুরো বছরের জন্য টোল পরিশোধের চাপ কমবে।

বর্তমানে একটি টোল পারাপারে গড় খরচ হয় ৮০ থেকে ১০০ টাকা। কিন্তু এই নতুন পাস ব্যবহারে গড় খরচ কমে আসবে মাত্র ১৫ টাকাতে। গডকড়ির মতে, এই বাৎসরিক পাস ব্যবহার করে একজন যাত্রী বছরে প্রায় ৭,০০০ টাকা পর্যন্ত সাশ্রয় করতে পারবেন।

Advertisements

এই ফাস্টট্যাগ-ভিত্তিক (FASTag) বাৎসরিক পাস শুধুমাত্র জাতীয় মহাসড়কে (National Highways) প্রযোজ্য হবে। এটি রাজ্য মহাসড়ক (State Highways)-এ প্রযোজ্য নয়। এছাড়াও, এক্সপ্রেসওয়েতে এই পাস কার্যকর হবে কি না, সে বিষয়ে এখনও কিছু স্পষ্ট করা হয়নি।

সরকার আরও জানিয়েছে, খুব শীঘ্রই এমন একটি নতুন প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থা চালু করা হবে যেখানে আর টোল প্লাজা নির্মাণের প্রয়োজন পড়বে না। এর ফলে টোল পয়েন্টে দীর্ঘ লাইন, যানজট এবং পেমেন্ট সংক্রান্ত সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে।

প্রসঙ্গত, এই নতুন বাৎসরিক পাস একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ, যা একদিকে যেমন যাত্রীদের খরচ কমাবে, তেমনি হাইওয়ের যাত্রাও আরও নির্বিঘ্ন এবং দ্রুত হবে। সরকারের ডিজিটাল পরিকাঠামোর দিকে অগ্রসরের এটি একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।