কলকাতা ফুটবল লিগ ২০২৫ (CFL 2025) দুরন্ত ফর্মে রয়েছে ডায়মন্ড হারবার এফসি (Diamond Harbour FC)। তারা আবারও প্রমাণ করল কেন এই মরসুমের অন্যতম হট ফেভারিট। সোমবার এক রোমাঞ্চকর ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে করা একমাত্র গোলে, এরিয়ান এফসিকে (Aryan FC) ১-০ ব্যবধানে পরাজিত করল ডায়মন্ড হারবার।
প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করে ডায়মন্ড হারবার। হাই প্রেসিংয়ের মাধ্যমে এরিয়ানের রক্ষণভাগকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে তারা। যদিও একাধিক সুযোগ তৈরি হয়েছিল, কিন্তু এরিয়ানের গোলরক্ষক ও রক্ষণভাগ প্রথমার্ধে কৃতিত্বের সঙ্গে তাদের লক্ষ্য অক্ষত রাখে।
৩১তম মিনিটে ডায়মন্ড হারবার সুবর্ণ সুযোগ পায় ফ্রি-কিক থেকে। ডি-বক্সের ঠিক বাইরে বল পেয়ে বেনজামিন এগোতে গেলে তাঁকে অবৈধভাবে ফাউল করেন এরিয়ানের প্রসনেজিৎ পাল। কুকি ফ্রি-কিকটি নিলেও বল এরিয়ানের ফুটবলারদের মানব-প্রাচীর থেকে প্রতিহত হয়। রিবাউন্ড থেকে সাওমতেয়া শট নিলেও তা সোজা গোলরক্ষকের গ্লাভসে।
প্রথমার্ধের সবচেয়ে বড় সুযোগ আসে ৩৯ মিনিটে। কুকির লম্বা থ্রু পাস পেয়ে সম্পূর্ণ অচিহ্নিত অবস্থায় গোলমুখে দাঁড়ানো শুভজিৎ বেলাল একটি চিপ শট নেন, কিন্তু এরিয়ানের গোলরক্ষকের স্পর্শে বল পোস্টের উপর দিয়ে বাইরে চলে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে ডায়মন্ড হারবার আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। ম্যাচের ৫১তম মিনিটে এরিয়ান বড় ধাক্কা খায়, যখন মঙ্গল বাগ দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। এটি ডায়মন্ড হারবারকে একজন বাড়তি খেলোয়াড়ের সুবিধা এনে দেয়। এই ফাউলের পর সাওমতেয়া ফ্রি-কিক নিলেও তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
৭২তম মিনিটে এরিয়ান এফসি হঠাৎ করে একটি আক্রমণ তৈরি করে। রাজু ওরাওন ডান প্রান্ত ধরে দৌড় লাগিয়ে দুর্দান্ত এক লং রেঞ্জ শট নেন, কিন্তু ডায়মন্ড হারবার গোলরক্ষক বলটি সহজেই ধরতে সক্ষম হন।
ম্যাচ যখন ড্রয়ের দিকে এগোচ্ছে বলে মনে হচ্ছিল, তখনই আসে নাটকীয় মুহূর্ত। অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে (৯০+৫), বদলি খেলোয়াড় আকিব নবাব বাঁ প্রান্ত থেকে এক উচ্চ ক্রস পাঠান বক্সে। আরেক বদলি খেলোয়াড় আকাশ হেমব্রম ফার পোস্টে উঠে দুর্দান্ত এক হেডে বল জালে জড়িয়ে দেন। আনন্দে ফেটে পড়ে ডায়মন্ড হারবার শিবির।
এই জয়ের ফলে, ডায়মন্ড হারবার এফসি টানা তিন ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ চারে অবস্থান বজায় রাখল। অন্যদিকে, এরিয়ান এফসি এখনো পর্যন্ত কোনো পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পারেনি এবং তাদের হতাশাজনক যাত্রা অব্যাহত রইল। ডায়মন্ড হারবারের কোচ ম্যাচ শেষে বলেন, “ছেলেরা আজ শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছে। এই ধরনের জয় আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। আমরা ধাপে ধাপে এগোচ্ছি।”