রাজ্যে রাজ্যে বিজেপির সভাপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে এবং (BJP president) সকলের নজর এখন একটাই বিষয়: বর্তমান সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার উত্তরসূরি কে হবেন? বিজেপি সূত্রের দাবি, চলতি মাসের শেষের দিকে সর্বভারতীয় সভাপতির নাম ঘোষণা হতে পারে, এবং এবারের আলোচনা(BJP president) বেশ কিছু নতুন দিক নিয়ে এসেছে। দীর্ঘদিন ধরে সভাপতি হওয়ার দৌড়ে একাধিক পুরুষ নেতার নাম শোনা যাচ্ছিল। তবে সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রের মাধ্যমে জানা গিয়েছে যে, এবার বিজেপি প্রথম মহিলা সর্বভারতীয় সভাপতি নিয়োগ করতে পারে। আরএসএসও এই সিদ্ধান্তে সমর্থন জানিয়েছে(BJP president)
Read Hindi: BJP के इतिहास में पहली बार महिला अध्यक्ष: कौन सी नेता छूने वाली है यह मील का पत्थर
এটি এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হতে পারে, কারণ বিজেপির ইতিহাসে কখনও(BJP president) কোনও মহিলা নেত্রী সর্বভারতীয় সভাপতি হননি। কিন্তু, মহিলাকে সভাপতি হিসেবে বেছে নেওয়ার জন্য কিছু বিশেষ শর্ত পূরণ করতে হবে, যা গেরুয়া শিবিরের নতুন লক্ষ্য এবং দাক্ষিণাত্য জয়ের পরিকল্পনার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। সূত্রের দাবি, মহিলার পাশাপাশি নতুন সভাপতি হতে হলে দক্ষিণ ভারতের হতে হবে এবং হিন্দি ভাষার দক্ষতা থাকতে হবে(BJP president)
প্রথম শর্ত: দক্ষিণ ভারত থেকে নেতৃত্(BJP president)
বিজেপির নয়া পরিকল্পনার মধ্যে একটি বড় দিক হল, দক্ষিণ ভারতের ভোটারদের আকর্ষণ করা। গত কয়েক বছর ধরে বিজেপি উত্তর ভারত এবং পূর্ব ভারতের অনেক রাজ্যে প্রভাব বিস্তার (BJP president) করেছে, তবে দক্ষিণ ভারতে এখনও তার প্রবল প্রভাব তৈরি হয়নি। তাই দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলির, বিশেষ করে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, এবং কেরল অঞ্চলের নেতার দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। দক্ষিণ ভারত থেকে বিজেপির সভাপতি নির্বাচিত হলে দলের ভবিষ্যতের কৌশলকে নতুন শক্তি দেওয়া হবে।(BJP president)
দ্বিতীয় শর্ত: হিন্দি ভাষার গুরুত্ব(BJP president)
দক্ষিণ ভারত থেকে আসা একজন নেত্রী হিন্দি ভাষা শিখেছেন এবং জাতীয় রাজনীতিতে তার দক্ষতা প্রমাণিত, এমন একজন নেত্রীই বিজেপি চাচ্ছে। কারণ হিন্দি, বিজেপির মূল কর্মসূচির ভাষা হিসেবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। উত্তর ভারতীয় রাজনীতিতে হিন্দি ভাষার যে গুরুত্ব, তা দক্ষিণ ভারতীয় নেত্রীর মধ্যে থাকতে হবে।(BJP president)
তিনটি শক্তিশালী মহিলা প্রার্থীর নাম(BJP president)
এখন প্রশ্ন উঠছে, কে হতে পারেন এই “মহিলা সভাপতি”? বিজেপির শীর্ষ নেত্রীদের মধ্যে তিনটি নাম উঠে এসেছে, যারা এই শর্তগুলো পূর্ণ করছেন এবং সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনা হচ্ছে:
১. নির্মলা সীতারাম (BJP president)
বিজেপির অন্যতম প্রভাবশালী নেতা, নির্মলা সীতারামণ (BJP president) গত কয়েক বছর ধরে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। অরুণ জেটলির প্রয়াণের পর তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক নিয়েছেন এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত। তার জাতীয় রাজনীতিতে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা, বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক এবং আর্থিক বিষয়ে গভীর জ্ঞান তাকে সভাপতি হওয়ার দৌড়ে শীর্ষস্থানীয় প্রার্থী করে তুলেছে। যদি বিজেপি মহিলা সভাপতি বেছে নেয়, নির্মলা সীতারামণের নামই সবার আগে উঠে আসবে(BJP president)
২. ডি পূর্ণেশ্বর (BJP president)
ডি পূর্ণেশ্বরী, অন্ধ্রপ্রদেশ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি এবং বর্তমান সাংসদ, হিন্দি ভাষায় সাবলীল। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভরসার পাত্রী এবং বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে পরিচিত। তার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা তাকে বিজেপির শীর্ষ পদে বসানোর জন্য উপযুক্ত প্রার্থী করে তুলছে। এছাড়াও, তিনি অপারেশন সিঁদুর নামে একটি প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন, যা তার নেতৃত্বের সক্ষমতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি করেছে(BJP president)
৩. ভনথি শ্রীনিবাস (BJP president)
ভনথি শ্রীনিবাসন তামিলনাড়ুর বিজেপির অন্যতম মুখ এবং বিজেপির মহিলা মোর্চার প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি। বর্তমানে তিনি বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির সদস্য। তামিলনাড়ুর মতো দক্ষিণ ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে তার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও জনপ্রিয়তা তাকে এই নির্বাচনে (BJP president) সম্ভাব্য প্রার্থী করে তুলছে। দক্ষিণ ভারতের হিন্দি ভাষা জানার দক্ষতা এবং কেন্দ্রীয় রাজনীতির সঙ্গে তার সম্পর্ক, তাকে বিজেপির প্রথম মহিলা সভাপতি হওয়ার জন্য শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী বানিয়েছে।
রাজনৈতিক প্রভাব ও ভবিষ্য(BJP president)
যদি বিজেপি প্রথমবারের মতো কোনো মহিলাকে সর্বভারতীয় সভাপতি হিসাবে বেছে নেয়, তবে এর তাৎপর্য অনেক বেশি। একদিকে যেমন এটি দলকে মহিলা ভোটারদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে, তেমনি দলও একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেবে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে বিজেপি মহিলা নেতৃত্বের প্রতি তার আস্থার প্রতিফলন ঘটাতে পারবে, যা দেশের রাজনীতিতে একটি বড় পরিবর্তন আনার সম্ভাবনা তৈরি করবে(BJP president)
সব মিলিয়ে, বিজেপি এর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মহিলাদের ক্ষমতায়নের বার্তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে তার সর্বভারতীয় সভাপতির দৌড়ে মহিলা নেতৃত্বকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে, যা ভারতের রাজনৈতিক পরিবেশে একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে(BJP president)