সম্প্রতি কলকাতার কসবা থানার এলাকা এবং তার আশেপাশের (kasba-law-college) স্থানগুলোতে একের পর এক নৃশংস ঘটনার পর জাতীয় মহিলা কমিশন (NCW) আবারও একটি গুরুতর পদক্ষেপ নিয়েছে। এবার তারা আইন কলেজে ঘটে যাওয়া এক নৃশংস ঘটনার প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছে। কসবা থানার ঘটনাটি এখনও মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ালেও, আইন কলেজের ঘটনার পর আরও বেশি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কমিশন(kasba-law-college)
জাতীয় মহিলা কমিশনের ৫ সদস্যের একটি বিশেষ তদন্ত দল (SIT) ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। এই দলটি ওই ঘটনায় সন্দেহভাজনদের সম্পর্কে তদন্ত করবে এবং ঘটনাটির আরও গভীরে গিয়ে সকল তথ্য সংগ্রহ করবে। কমিশন তাদের তরফে জানিয়েছে যে, তারা তদন্তের অংশ হিসেবে সর্বশেষ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে আইন কলেজের সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্ত প্রমাণ ও সাক্ষীদের সঙ্গে কথা বলবে।(kasba-law-college)
এদিকে, কমিশন জানিয়েছে যে, তারা নির্যাতিতার(kasba-law-college) পরিবারের সঙ্গে কথা বলার জন্য তাদের বাড়ি পরিদর্শন করতে চায়। পরিবারের সদস্যদের থেকে সরাসরি তথ্য সংগ্রহ করে ঘটনার প্রকৃতি এবং তার পেছনের কারণগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবে তারা। কমিশনের এই পদক্ষেপের মাধ্যমে নির্যাতিতার পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি এবং আইনের প্রতি তাদের অঙ্গীকার আরও দৃঢ়ভাবে প্রমাণিত হয়েছে।(kasba-law-college)
কমিশন জানিয়েছে, তারা শুধুমাত্র স্থানীয় পুলিশ বা তদন্তকারী(kasba-law-college) দলের সঙ্গে কথা বলবে না, বরং এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত অপরাধীদের চিহ্নিত করার জন্য পুরো পরিস্থিতি নথিভুক্ত করবে। তারা বিশেষভাবে গুরুত্ব দেবে, যেন কোনভাবে কোনো পক্ষের পক্ষপাতিত্ব বা অবহেলা না হয় এবং অপরাধীরা আইনের আওতায় আসে।(kasba-law-college)
এর পাশাপাশি, জাতীয় মহিলা কমিশন জানিয়েছে যে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে চলেছে। ঘটনাটি যেখানেই ঘটেছে, সেখানে গিয়ে তারা খতিয়ে দেখবে পরিস্থিতি কীভাবে (kasba-law-college) তৈরি হয়েছিল এবং কেন পুলিশ বা স্থানীয় প্রশাসন যথাসময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়নি। কমিশনের এই সরেজমিন তদন্ত পদ্ধতি, প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমে আরও স্বচ্ছতা আনার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে(kasba-law-college)
এছাড়াও, বিষয়টি সবার নজরে আসার পর কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, “এ ধরনের ঘটনার তদন্তে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা আশ্বস্ত করতে চাই যে, এই অপরাধে জড়িতরা আইনের আওতায় আসবে এবং তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।”(kasba-law-college)
এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতিতে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া উঠে আসতে শুরু করেছে। বিশেষ করে, বিরোধী দলের নেতারা অভিযোগ করেছেন যে, সরকার ও প্রশাসন এই ধরনের ঘটনা দমন করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তৃণমূলের মধ্যে কিছু নেতাও এই ঘটনার পেছনে প্রশাসনিক গাফিলতি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন(kasba-law-college)
তবে জাতীয় মহিলা কমিশন তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে, তারা যে কোনো অভিযোগের তদন্ত করতে প্রস্তুত এবং কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্ব ছাড়াই সত্যকে উন্মোচন করবে। কমিশনের চেয়ারম্যান রেখা শর্মা জানিয়েছেন, “আমরা নারী নির্যাতন এবং অমানবিক ঘটনা নিয়ে কোনো আপোস করব না। প্রশাসনের কাজ সঠিকভাবে এবং দ্রুত হবে, যাতে কোনও মহিলার নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়।(kasba-law-college)
এখন প্রশ্ন উঠছে, এই ঘটনার পর কতটা দায়ী প্রশাসন এবং পুলিশের ভূমিকা? জাতীয় মহিলা কমিশন তদন্ত করে সত্যের প্রতি তার অঙ্গীকার বজায় রেখে যে কোনো অপরাধীকে শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা করবে, এমনটাই আশা করছে সাধারণ জনগণ(kasba-law-college)