রাজনীতি ভুলে উন্নয়নে নজর দিন, ট্রেন উদ্বোধনে অশ্বিনী-সুকান্তদের উদ্দেশ্য তৃণমূল সাংসদের বার্তা

এদিনই শুভ সূচনা হয়েছে হাওড়া-পুরুলিয়া নতুন মেমু স্পেশ্যাল ট্রেনের।(Railway Minister) এই নতুন রেল পরিষেবাটি পশ্চিমবঙ্গের যাত্রীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যাঁরা কলকাতা এবং পুরুলিয়া…

Rise Above Politics and Work’: Ashwini Vaishnav and Sukanta Majumdar Attack TMC MP at Train Inauguration

এদিনই শুভ সূচনা হয়েছে হাওড়া-পুরুলিয়া নতুন মেমু স্পেশ্যাল ট্রেনের।(Railway Minister) এই নতুন রেল পরিষেবাটি পশ্চিমবঙ্গের যাত্রীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যাঁরা কলকাতা এবং পুরুলিয়া অঞ্চলের মধ্যে যাতায়াত করেন। ট্রেনটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী এবং রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।(Railway Minister) 

অবশ্য, ট্রেন উদ্বোধনের অনুষ্ঠানটিতে শুধু শুভেচ্ছাবার্তা ও সমৃদ্ধির আশ্বাসই ছিল না, বরং রাজনীতি এবং জমি জট নিয়ে তীব্র বাকযুদ্ধও শুরু হয়ে যায়। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Railway Minister) খোঁচা দিতে ছাড়লেন না। জমি জট নিয়ে তিনি রাজ্য সরকারের প্রতি আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেন এবং বলেন, “রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করা উচিত, বিশেষ করে যখন মানুষের সেবা ও উন্নয়নের কথা আসে।” তাঁর মতে, “যতদিন রাজ্য সরকার জমি দেওয়ার জন্য রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করবে না, ততদিন রেল প্রকল্পগুলি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না।”(Railway Minister) 

   

রেলমন্ত্রী এর পাশাপাশি বেশ কিছু প্রকল্পের উদাহরণও দেন(Railway Minister) যেগুলি জমি জটের কারণে আটকে আছে। তিনি উল্লেখ করেন, “চিংড়িয়াটায় মেট্রো প্রকল্প আটকে ট্রাফিকের অনুমতির জন্য, বিষ্ণুপুর-তারকেশ্বর লাইনের ২ কিলোমিটার জমি প্রয়োজন ছিল, কিন্তু তা না পাওয়ার কারণে প্রকল্প আটকে গেছে।” এছাড়া, তিনি নন্দীগ্রাম ও অন্যান্য অঞ্চলের জমি সমস্যা নিয়েও মন্তব্য করেন এবং জোর দিয়ে বলেন, “যদি জমি না পাওয়া যায়, তাহলে এই প্রকল্পগুলি আর বাস্তবায়ন হবে না।”(Railway Minister) 

এদিকে, রেলমন্ত্রী তৃণমূল সরকারকে ‘রাজনীতির (Railway Minister) ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করার’ আহ্বান জানালেও, তার মন্তব্যকে রাজনৈতিক কটাক্ষ হিসেবে দেখছেন রাজ্যের শাসক দল। তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা আক্রমণ করে বলেন, “আমি অনেক কিছু বলার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু সুযোগ পাইনি।” তিনি বলেন, “এরা খুব খারাপ, শুধু নিজের স্বার্থই দেখে, আর কিছু নয়।(Railway Minister) 

রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের বক্তব্যের পর সুকান্ত মজুমদারও(Railway Minister) সুর মিলিয়ে বলেন, “মেট্রো পরিষেবা সম্প্রসারণ হোক বা নতুন লাইন পাতা, রাজ্য প্রশাসন থেকে কোনও সহযোগিতা পাওয়া যায় না।” তিনি জানান, “৬১টি রেল প্রকল্প আটকে রয়েছে শুধুমাত্র জমি সমস্যার কারণে। আমি প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়কে বলব, তাঁদের তরফে একটু সহযোগিতা করলে রেল প্রকল্পগুলি সহজে বাস্তবায়ন হবে।”(Railway Minister) 

Advertisements

এছাড়া, মঞ্চে বসে থাকা সুকান্ত মজুমদার এবং প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়(Railway Minister) একে অপরের প্রতি তীব্র আক্রমণ করেন। সুকান্ত বলেন, “রাজ্য সরকার যদি জমির সমস্যা মেটানোর জন্য উদ্যোগ না নেয়, তাহলে রেল প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে আরও বহু বছর লাগবে।” প্রসূনও তাঁর পাল্টা বক্তব্যে বলেন, “এরা শুধু নিজেদের স্বার্থ দেখে, এসব পরিকল্পনা নিয়ে কথা বললে কখনো কাজ হবে না।(Railway Minister) 

এই পরিস্থিতিতে, যে কোনও রেল প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের জন্য রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তবে, রাজনীতি এবং জমি সমস্যার মধ্যকার টানাপোড়েনও নতুন করে প্রকাশ পেল এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। যখন জনগণের স্বার্থে কাজ করার কথা বলা হচ্ছে, তখন রাজনৈতিক দলের মধ্যে এই ধরনের আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ মানুষের জন্য কী ভাবে উন্নয়ন সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।(Railway Minister) 

শেষ পর্যন্ত, রেল প্রকল্পগুলি যখন মানুষের জীবনে সরাসরি প্রভাব ফেলে, তখন রাজনীতি ঊর্ধ্বে উঠে, উক্ত প্রকল্পগুলির বাস্তবায়নে সবাইকে একত্রিত হওয়ার প্রয়োজনীয়তা যে বেশি, তা স্পষ্ট। তবে, জমি সমস্যা, প্রশাসনিক জটিলতা এবং রাজনৈতিক সংঘাত কেবল এই উদ্যোগগুলির বাস্তবায়নে বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।(Railway Minister)