রাতে লকআপেই থাকবেন সুকান্ত, লালবাজারে অবস্থান-বিক্ষোভ!

কলকাতা: কসবাকাণ্ডের প্রতিবাদে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। শনিবার কলকাতার গড়িয়াহাটে বিক্ষোভ দেখিয়ে গ্রেফতার করা হল বিজেপি রাজ্য সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)-সহ অন্তত…

West Bengal BJP's Next State President to Be Announced Next Week

কলকাতা: কসবাকাণ্ডের প্রতিবাদে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। শনিবার কলকাতার গড়িয়াহাটে বিক্ষোভ দেখিয়ে গ্রেফতার করা হল বিজেপি রাজ্য সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)-সহ অন্তত ৬৫ জন বিজেপি নেতা-কর্মীকে।

বিক্ষোভের পর তাঁদের লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরও রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়ে দেন, তাঁরা জামিনের আবেদন করবেন না। শনিবার রাতে লালবাজারের লকআপেই থাকবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), রাজ্য সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় এবং তমোঘ্ন ঘোষ।

   

লালবাজারের সামনে বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের নেতৃত্বে শুরু হয় অবস্থান-বিক্ষোভ। ত্রিপল পেতে বসে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। সজল ঘোষ বলেন, “একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে গ্রেফতার করতে গেলে বিশেষ প্রোটোকল মানতে হয়। কিন্তু এখানে সিভিক ভলান্টিয়ার আর সাব-ইনস্পেক্টর লেভেলের অফিসাররা যেভাবে টেনে নিয়ে গেলেন, সেটা লজ্জাজনক। আসল অপরাধীদের ধরতে না পারা পুলিশ বিজেপি নেতাদের কলার ধরে অপমান করছে।”

তিনি আরও বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ বাংলাদেশ হয়ে গেলে তার দায় সরকারকেই নিতে হবে। আমরা যতদিন প্রয়োজন এখানে অবস্থান চালিয়ে যাব।”

লালবাজারের সামনে ইতিমধ্যেই মোতায়েন হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। চত্বর কার্যত পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ। বিজেপির বহু কর্মী-সমর্থক স্লোগান দিতে থাকেন। অবস্থানে বসেছেন জামিনে মুক্তি পাওয়া নেতা-কর্মীরাও।

প্রাথমিকভাবে আটক হওয়া বিজেপি কাউন্সিলর মীনা দেবী পুরোহিত-সহ তিনজনকে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও কিছুক্ষণ পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

Advertisements

জানা গিয়েছে, সুকান্ত মজুমদার-সহ ২৫ জনের বেশি বিজেপি নেতা-কর্মী লালবাজারের লকআপেই স্বেচ্ছায় রাত কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও মহিলা কর্মী-সহ ৩২ জনের মতো বিজেপি কর্মী ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছেন। তাঁদের অনেকের শারীরিক অসুস্থতার কারণে জামিন নেওয়া হয়েছে।

তবে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ সহকর্মীরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা আপাতত জামিনের আবেদন করবেন না। এই অবস্থান চলবে যতক্ষণ পর্যন্ত তাঁদের দাবির সঠিক জবাব না পাওয়া যায়।

শুধু কলকাতা নয়, রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেও এই গ্রেফতারের প্রতিবাদে পথে নেমেছে বিজেপি। বালুরঘাট, বর্ধমান, বাঁকুড়া, হাওড়া-সহ একাধিক জেলায় চলছে বিক্ষোভ কর্মসূচি। অবস্থান-বিক্ষোভে উত্তাল গোটা রাজ্য।

বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, কসবাকাণ্ডে ন্যায় বিচারের দাবিতে এবং পুলিশের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন চলবে।

রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে। লালবাজারের সামনে পুলিশের সঙ্গে কার্যত বিজেপি কর্মীদের অঘোষিত রণক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। প্রশাসনের নজর এখন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার দিকে। রাজ্য রাজনীতিতে এই ঘটনায় উত্তাপ আরও বাড়বে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।