২১ জুলাই, তৃণমূল কংগ্রেসের ইতিহাসে শুধু একটি তারিখ নয়,(Mamata Banerjee) এটি রাজ্যের লক্ষ লক্ষ কর্মী-সমর্থকদের কাছে এক অমোচনীয় আবেগের নাম। প্রতি বছর(Mamata Banerjee) শহিদের স্মরণে আয়োজিত এই সমাবেশ হয়ে ওঠে জনসমুদ্রের প্রতিচ্ছবি। সেই আবেগ ও স্মৃতিকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে দলীয় নেতৃত্ব ও বিধায়কদের এবার আগেভাগেই বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।(Mamata Banerjee)
সম্প্রতি শেষ হয়েছে বিধানসভার বাদল অধিবেশন।(Mamata Banerjee) অধিবেশনের শেষ দিনেই মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রী ও বিধায়কদের সঙ্গে পৃথকভাবে দেখা করেন। এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নেন। কোথাও কোনও প্রশাসনিক সমস্যা, স্থানীয় অশান্তি বা জনভোগান্তির বিষয় আছে কি না, সেসব নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন। এই কথোপকথনের ফাঁকেই তিনি তুলে ধরেন ২১ জুলাইয়ের প্রসঙ্গ।(Mamata Banerjee)
মমতার স্পষ্ট বার্তা, “২১ জুলাই সামনে। সবাই(Mamata Banerjee) খেয়াল রাখো যেন কর্মীরা সঠিকভাবে সভায় পৌঁছাতে পারেন। আগে থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে। এই সমাবেশ সফল করতে হবে।” নেত্রীর এই সংক্ষিপ্ত অথচ অর্থবহ বার্তা দলীয় নেতৃত্বের কাছে এক গুরুদায়িত্বের ইঙ্গিত।(Mamata Banerjee)
তৃণমূল নেত্রীর কাছে ২১ জুলাই শুধুমাত্র একটি(Mamata Banerjee) রাজনৈতিক সমাবেশ নয়, বরং শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর এক ঐতিহাসিক দিন। সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তকে স্মরণীয় করে তুলতে প্রতি বছরই বিশাল প্রস্তুতির সাক্ষী থাকে দল। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। ইতিমধ্যেই দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে সভাস্থল, কর্মী পরিবহণ, আবাসনের ব্যবস্থা, নিরাপত্তা ও অন্যান্য লজিস্টিক বিষয়ে প্রস্তুতি শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন নেত্রী(Mamata Banerjee)
এই আবেগঘন মুহূর্তের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী তুলে ধরেছেন আরও(Mamata Banerjee) একটি স্পর্শকাতর বিষয়। সম্প্রতি রাজস্থানে বাংলা ভাষায় কথা বলার ‘অপরাধে’ কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিককে আটক করা হয়। বিষয়টি সামনে আসতেই তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেন মুখ্যমন্ত্রী। সাংবাদিকদের সামনেও তিনি বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানান এবং দলীয় বিধায়কদের কাছে ঘটনাটির গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন। বাংলা ভাষা ও বাঙালি পরিচয়ের প্রতি তাঁর এই দায়বদ্ধতা নতুন কিছু নয়, বরং তা তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের প্রতিচ্ছবি(Mamata Banerjee)
এদিকে, রাজ্যে চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর(Mamata Banerjee) কড়া বার্তা দিয়েছেন। ডিভিসি-র জল ছাড়ার বিষয়টি রাজ্যকে না জানিয়ে করা হয়েছে বলে সরকারের অভিযোগ। এর প্রেক্ষিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে অধিবেশনের একটি পর্ব কাটছাঁট করে নেতা-মন্ত্রীদের দ্রুত বন্যাকবলিত এলাকায় পৌঁছানোর নির্দেশ দেন তিনি। শুধু তাই নয়, তাদের দায়িত্ব পালনের বিষয়ে তিনি ছিলেন নজরদার(Mamata Banerjee)
এখানেই শেষ নয়। মুখ্যমন্ত্রী বারবার মনে করিয়ে দিয়েছেন, জনপ্রতিনিধি হিসেবে সকলের কিছু দায়িত্ব ও শালীনতা রয়েছে। যত্রতত্র, যখন-তখন যেকোনো কিছু বলে ফেলার সংস্কৃতি গ্রহণযোগ্য নয়। দলের শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং জনতার আস্থা অর্জন করাই একজন জনপ্রতিনিধির মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত(Mamata Banerjee)
এইভাবে ব্যক্তিগত খোঁজ-খবর থেকে শুরু করে বৃহৎ রাজনৈতিক (Mamata Banerjee) সমাবেশ—সব ক্ষেত্রেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ফুটে উঠছে দায়িত্ব, আবেগ, এবং সংগঠনের প্রতি একনিষ্ঠতা। ২১ জুলাই তাই শুধুই স্মরণ নয়, এটি তৃণমূলের আত্মপরিচয়ের দিন। এবং সেই আত্মপরিচয়কে আরও একবার গর্বের সঙ্গে তুলে ধরতেই নেত্রীর এই বার্তা—সতর্ক থাকো, প্রস্তুত থাকো, ঐতিহাসিক করো।(Mamata Banerjee)
