আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উপলক্ষে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (dilip-ghosh) ভারতের প্রাচীন ঐতিহ্য যোগের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, যোগ শুধু ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নয়, এটি বিশ্বকে ভারতের এক অনন্য উপহার। প্রধানমন্ত্রী মোদীর উদ্যোগে যোগ আজ বিশ্বের প্রায় ২০০টি দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
দিলীপ ঘোষের (dilip-ghosh) মতে, যোগের এই বিশ্বজয়ের পেছনে মোদীর দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং অক্লান্ত প্রচেষ্টার অবদান অপরিসীম। যদিও আজ দলে তিনি ব্রাত্য। মোদী বা অমিত শাহ র বঙ্গ সফরে তাকে দেখতে পাওয়া যায়নি তবুও আজ যোগ দিবসে প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসায় মাতলেন দিলীপ ঘোষ।
দিলীপ ঘোষ (dilip-ghosh) বলেন, “যোগ আমাদের দেশের ঐতিহ্য। আমরা বিশ্বকে যোগ উপহার দিয়েছি। শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য এটি একটি অত্যন্ত উৎকৃষ্ট মাধ্যম। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এটিকে বিশ্বব্যাপী প্রচার করেছেন, এবং এখন প্রায় ২০০টি দেশে যোগের চর্চা হচ্ছে। এই কৃতিত্বের জন্য নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত, যিনি যোগকে পুনরুজ্জীবিত করে বিশ্বে আবার প্রসারিত করেছেন।”
২০১৪ সালে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতি বছর ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব রাখেন। এই প্রস্তাব অভূতপূর্ব সমর্থন পায় এবং ১৭৭টি দেশের সমর্থনে জাতিসংঘ এটি গ্রহণ করে। ২০১৫ সাল থেকে প্রতি বছর এই দিনটি বিশ্বব্যাপী উৎসাহের সঙ্গে পালিত হয়ে আসছে। দিলীপ ঘোষের বক্তব্যে এই ঐতিহাসিক উদ্যোগের জন্য মোদীর প্রশংসা স্পষ্ট।
যোগ ভারতের প্রাচীন সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। হাজার হাজার বছর ধরে ভারতীয় ঋষি-মুনিরা যোগের মাধ্যমে শারীরিক, মানসিক এবং আধ্যাত্মিক উৎকর্ষ সাধনের পথ দেখিয়েছেন। আধুনিক বিশ্বে যোগের গুরুত্ব আরও বেড়েছে, কারণ এটি শুধু শরীরের স্বাস্থ্যই নয়, মানসিক চাপ কমাতে এবং জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সহায়ক। দিলীপ ঘোষ (dilip-ghosh) তাঁর বক্তব্যে যোগের এই সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতার কথা উল্লেখ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে ভারত যোগকে বিশ্ব মঞ্চে নিয়ে গেছে। তাঁর উদ্যোগে যোগ শুধু একটি ব্যায়াম পদ্ধতি নয়, একটি জীবনধারা হিসেবে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিত হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যোগ শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, যোগ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠা এবং যোগ বিষয়ক গবেষণার জন্য ভারতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কাজ করে চলেছে। আয়ুষ মন্ত্রণালয় এবং যোগ সংসংযোগী সংস্কৃতি সংসংগঠনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এই কাজে গুরুতি ভূমিকা পালন করছে।
দিলীপ ঘোষের (dilip-ghosh) মতে, মোদীর যোগ প্রচারের ফলে বিশ্বের বিভিন্নে দেশে যোগের চর্চা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, জাপানের মতো উন্নত দেশগুলো থেকে শুরু করে আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতেও যোগ আজ জনপ্রিয়। যোগ দিবস উপলক্ষে বিশ্বের বিভিন্ন শহরে বড়ো বড়ো আয়োজন করা হয়, যেখানে হাজার হাজার মানুষ একসঙ্গে যোগাভ্যাস করেন। এই বছরও ২১ জুন ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যোগ দিবস উদযাপিত হয়েছে।
ভারতে যোগ দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন রাজ্যে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে যোগ শিবিরের আয়োজন করা হয়। কলকাতা, দিল্লি, মুম্বইয়ের মতো মহানগর থেকে শুরু করে ছোটো শহর ও গ্রামেও মানুষ যোগাভ্যাসে অংশ নিয়েছেন। বিজেপি নেতা হিসেবে দিলীপ ঘোষ এই ধরনের আয়োজনে অংশ নিয়ে যোগের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, যোগ শুধু শরীরের জন্য নয়, এটি মানুষের মানসিক শান্তি এবং সমাজে ঐক্যের প্রতীক।
ভারতের স্বপ্ন হবে সত্যি যুদ্ধবিমানের জন্য তৈরি হবে প্রথম দেশীয় ইঞ্জিন
প্রধানমন্ত্রী মোদীর যোগ প্রচারের পেছনে তাঁর ব্যক্তিগত আগ্রহও একটি বড়ো ভূমিকা পালন করেছে। তিনি নিজে নিয়মিত যোগাভ্যাস করেন এবং যোগের বিষয়ে তাঁর বক্তব্য বিশ্ববাসীকে উৎসাহিত করেছে। তাঁর নেতৃত্বে ভারত যোগকে একটি বিশ্বশক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। দিলীপ ঘোষের বক্তব্যে এই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
যোগের বিশ্বজয় শুধু ভারতের সাংস্কৃতিক কৃতিত্বই নয়, এটি বিশ্ব স্বাস্থ্যের জন্যও একটি বড়ো অবদান। আধুনিক জীবনে মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং শারীরিক অসুস্থতা বেড়েছে। যোগ এই সমস্যাগুলোর সমাধানে একটি সহজ এবং কার্যকরী উপায়। দিলীপ ঘোষের মতে, যোগের এই গ্রহণযোগ্যতা ভারতের সাফল্যের প্রমাণ।
আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের এই উপলক্ষে ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, সমাজকর্মী এবং সাধারণ মানুষ যোগের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। দিলীপ ঘোষের (dilip-ghosh) বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে যোগের বিশ্বজয়ের গল্প উঠে এসেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, ভবিষ্যতেও যোগ বিশ্বে ভারতের গৌরব বাড়াতে থাকবে।