ফুটবল ফেডারেশনের পরিকল্পনা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন ‘পাহাড়ি বিছে’

শুক্রবার বিকেলে একটি সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল ক্যালকাটা স্পোর্টস জার্নালিস্ট ক্লাবে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন তারকা বাইচুং ভুটিয়া (Bhaichung Bhutia)। এই…

Bhaichung Bhutia Slams AIFF President Kalyan Chaubey, Calls Vision 2047 a 'Circus' in Scathing Critique

শুক্রবার বিকেলে একটি সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল ক্যালকাটা স্পোর্টস জার্নালিস্ট ক্লাবে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন তারকা বাইচুং ভুটিয়া (Bhaichung Bhutia)। এই বৈঠকে একেবারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দেশের সর্বভারতীয় ফুটবল ফেরারেশন তথা এআইএফএফ এর বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় দেশের এই প্রাক্তন তারকা ফুটবলারকে। পাশাপাশি ফেডারেশনের সভাপতি কল্যাণ চৌবেকে উদ্দেশ্য করেও একের পর এক তোপ দাগেন তিনি। যেখানে দেশের ফুটবলের অগ্রগতির ক্ষেত্রে কল্যাণ চৌবের সক্রিয়তা যে ক্ষতিকর ভূমিকা পালন করছে সে কথাও স্পষ্ট করে যান বাইচুং।

এক্ষেত্রে সঠিক কোচ নির্বাচনের পাশাপাশি একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে যে সঠিক পরিকল্পনা প্রয়োজন সেই কথাও উঠে আসে তাঁর মুখ থেকে। এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত থেকে তিনি বলেন, “এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে আমরা র‍্যাঙ্কিংয়ে ১৩৩তম স্থানে আছি। আমরা সকলেই দেখতে পাচ্ছি যে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে আমাদের লড়াই করতে হচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি আমাদের যোগ্যতা অর্জনের ভালো সুযোগ আছে, কিন্তু একই সাথে আমাদের বুঝতে হবে যে এশিয়ান কাপে এখন ২৪টি দল রয়েছে, আমার অধিনায়কত্বের সময় ১৬টি দল ছিল, তাই আমাদের অবশ্যই যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।”

   

সেই সাথে এআইএফএফ এর বর্তমান সভাপতি প্রসঙ্গে পাহাড়ি বিছে বলেন, ” আমাদের মহান সভাপতি কল্যাণ চৌবে আগেই বলেছিলেন যে আমরা ২০২৬ সালের মধ্যে এশিয়ার শীর্ষ ১০-এ থাকব। এখন তিনি বলছেন যে আমাদের ১০ বছর আগেই এর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া উচিত ছিল। কল্যাণ চৌবের অধীনে তিন বছরে, এমনকি আমাদের মহিলা দলও পিছিয়ে পড়েছে। আমার মনে হয় তিনি নিজেও জানেন না ‘ভিশন ২০৪৭’ কী,” এক্ষেত্রে কীভাবে এগোনো উচিত। ভারতীয় ফুটবলের প্রতি যারা আগ্রহী তাঁরা জানেন যে এটি এখন একটি সার্কাস, এবং স্পষ্টতই যদি আপনি একজন জোকারকে সেই অবস্থানে রাখেন তবে তা ঘটবে।”

Advertisements

কিন্তু সেখানেই শেষ নয়। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতির তরফ থেকে তার উপর উঠে আসা বিবিধ অভিযোগের সাপেক্ষে আরও বলেন, “আমরা প্রায় ১২ বছর আগে টুর্নামেন্টটি শুরু করেছিলাম এবং ২-৩ বছরের মধ্যে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম যে আমাদের পরিকল্পনাকে আরও মজবুত করতে হবে। তখনই আমরা স্কুল-পরবর্তী প্রোগ্রাম শুরু করি। যেখানে আমাদের ফুটবল অ্যাকাডেমিতে প্রায় ৩০% শিক্ষার্থী পূর্ণ বৃত্তি পাচ্ছে এবং ৭০% স্কুল-পরবর্তী প্রোগ্রামগুলিতে মনোনিবেশ করছে। আমাদের ২২০ জন কোচ, ৭০টি কেন্দ্র রয়েছে এবং আমরা দেশের বৃহত্তম ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম নিয়ে এগোচ্ছি। যে অর্থ আসে তা আমাদের কাজেই ব্যয় করা হয়। সে নিজে ফুটবলে অবদান রাখার জন্য কিছুই করেনি, এমনকি যখন সে খেলেছিল তখনও সে রাজনীতিতে মনোযোগী ছিল।” বাইচুংয়ের এমন মন্তব্য নিয়ে রীতিমতো সরগরম ভারতীয় ফুটবল মহল।