ইসরায়েল-ইরান সংঘাত গড়াল অষ্টম দিনে। আর এই এক সপ্তাহের মধ্যেই পরিস্থিতি পৌঁছেছে উত্তেজনার চরম শিখরে। শুক্রবার একে অপরকে নিশানা করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে দুই দেশ। এর মধ্যে ইসরায়েলের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইরানের পারমাণবিক পরিকাঠামো। পাল্টা জবাবে তেহরান ছুড়েছে ক্লাস্টার বোমা৷ এই প্রথম এই সংঘাতে এমন বিধ্বংসী অস্ত্রের ব্যবহার হল। এক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইসরায়েলের একটি হাসপাতাল, আহত অন্তত ৭১।
‘সব টার্গেট আমাদের নজরে’— হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান ‘সময়ের আগে’ এগিয়ে চলেছে। তাঁর কথায়, ইসরায়েল ইরানের সমস্ত পরমাণু স্থাপনাকে ধ্বংস করতে প্রস্তুত- এমনকি কঠিনভাবে নিরাপত্তায় মোড়া ফোরডো সাইটও রেহাই পাবে না।
হাসপাতালে হামলা, ক্লাস্টার মিউনিশন ছুড়ল ইরান Israel Iran Conflict Escalation
ইরানের পাল্টা আঘাতেও রয়েছে ভয়াবহতা। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, ইরান শুক্রবার ক্লাস্টার মিউনিশন যুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। একটির আঘাতে দক্ষিণ ইসরায়েলের একটি মেডিক্যাল বিল্ডিং ভেঙে পড়ে। আহত হয়েছেন অন্তত ৭১ জন। বেশির ভাগই আতঙ্কে আশ্রয় নিতে গিয়ে চোট পান বা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হন।
মার্কিন অবস্থান: সামরিক হস্তক্ষেপ কি আসন্ন?
এই পরিস্থিতিতে নজর এখন হোয়াইট হাউসের দিকে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিদ্ধান্ত নেবেন আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আমেরিকা ইসরায়েলের পাশে সামরিকভাবে দাঁড়াবে কিনা। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনি অনুমতি দিলেই, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে পারবে।
ট্রাম্পের বার্তা, “ইরানের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে বা নাও হতে পারে। সেই সম্ভাবনার ভিত্তিতেই আমি সিদ্ধান্ত নেব, সামরিক পদক্ষেপ নেব কিনা।”
নতুন গোয়েন্দাপ্রধান নিয়োগ করল ইরান
ইসরায়েলের হামলায় নিহত হন ইরানি রেভল্যুশনারি গার্ডস-এর গোয়েন্দা প্রধান মোহাম্মদ কাজেমি। তাঁর জায়গায় নতুন দায়িত্ব পেলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মজিদ খাদামি। ইরানি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এই পরিবর্তনের মূল উদ্দেশ্য গোয়েন্দা নজরদারি ও প্রতিশোধ পর্বকে আরও ধারালো করা।
কাতারে মার্কিন প্রস্তুতি: গায়েব ৪০ যুদ্ধবিমান!
এই উত্তপ্ত আবহে কাতারের মার্কিন বিমানঘাঁটি থেকে গত দুই সপ্তাহে গায়েব হয়েছে ৪০টিরও বেশি যুদ্ধবিমান। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইরানের সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় আগেভাগেই সরানো হয়েছে এই এয়ারক্র্যাফ্টগুলি।