মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে বড় সিদ্ধান্তের পথে কেন্দ্র

শিক্ষা ব্যবস্থায় বড়সড় পরিবর্তনের পথে হাঁটতে চলেছে কেন্দ্র।(Centre) মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের জটিলতা দূর করতে এবার একটাই বোর্ড গঠনের সুপারিশ করল কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি সাতটি…

Govt Proposes Unified Exam Board for Secondary, Higher Secondary in 7 States

শিক্ষা ব্যবস্থায় বড়সড় পরিবর্তনের পথে হাঁটতে চলেছে কেন্দ্র।(Centre) মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের জটিলতা দূর করতে এবার একটাই বোর্ড গঠনের সুপারিশ করল কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি সাতটি রাজ্যকে এই সুপারিশ জানানো হয়েছে। তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ, অসম, কেরল, মণিপুর, ওড়িশা এবং তেলেঙ্গানা(Centre) 

কেন এই সুপারিশ? কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের মতে, এই সাত রাজ্যে মাধ্যমিক (দশম শ্রেণি) ও উচ্চমাধ্যমিক (দ্বাদশ শ্রেণি) স্তরে ফেল করার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলিকে একক বোর্ড গঠনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষায় সফল হওয়া সহজ হয় এবং বোর্ডভিত্তিক বৈষম্য কমে(Centre) 

   

পরিসংখ্যান যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছ(Centre) 

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গতবছর দেশজুড়ে দশম(Centre) শ্রেণিতে ফেল করেছে ২২.১৭ লক্ষ পড়ুয়া এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে ফেল করেছে ২০.১৬ লক্ষ। এমন বিপুল সংখ্যক ফেল করা ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা চিহ্নিত করে তাতে সমাধান আনতেই কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপ(Centre) 

বর্তমানে সারা দেশে ৬৬টি স্কুল বোর্ড রয়েছে।(Centre) তার মধ্যে তিনটি জাতীয় স্তরের (যেমন CBSE, ICSE, NIOS) এবং বাকি ৬৩টি রাজ্যভিত্তিক বোর্ড। তবে দেখা যাচ্ছে, এই ৬৩টি রাজ্য স্তরের বোর্ডের মধ্যে ৩৩টি বোর্ডে মোট শিক্ষার্থীদের ৯৭% পড়াশোনা করছে, আর বাকি ৩৩টি বোর্ডে মাত্র ৩% ছাত্রছাত্রী রয়েছে। ফলে বোর্ডভিত্তিক ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়েছে(Centre) 

Advertisements

কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের বার্ত(Centre) 

স্কুল শিক্ষা বিভাগের সচিব সঞ্জয় কুমার বলেন, (Centre) দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য অভিন্ন বোর্ড থাকলে সমস্যার সমাধান হবে। এখন যে বৈচিত্র্য আছে, তাতে পড়ুয়ারা পরীক্ষায় ভালো ফল করতে পারছে না। সেই কারণেই এই সাত রাজ্যকে এক বোর্ডে পরীক্ষার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।(Centre) 

সম্ভাব্য সুবিধা ও চ্যালেঞ্(Centre) 

এই অভিন্ন বোর্ড চালু হলে, গোটা রাজ্যের(Centre) শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে একটি মানদণ্ডে পরীক্ষা দেবে, ফলে দেশের বাকি রাজ্য বা জাতীয় পর্যায়ে ছাত্রছাত্রীদের প্রতিযোগিতায় সুবিধা হবে। একই সঙ্গে প্রশ্নপত্রের মান, পরীক্ষার সময়সূচি ও মূল্যায়নের পদ্ধতি অভিন্ন থাকলে সমতা বজায় থাকবে(Centre) 

তবে এই ব্যবস্থার কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। রাজ্যের নিজস্ব ভাষা, পাঠ্যক্রম, সংস্কৃতি, এবং শিক্ষানীতির সঙ্গে নতুন বোর্ডের সামঞ্জস্য রক্ষা করাটা সহজ হবে না। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে যেখানে নিজস্ব বোর্ড বহু দশক ধরে কাজ করছে, সেখানে এই পরিবর্তনকে মসৃণভাবে রূপ দেওয়া একটা বড় চ্যালেঞ্জ হবে(Centre)