এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী ফ্লাইট AI 159 মঙ্গলবার দুপুরে আহমেদাবাদ থেকে ছাড়ার কথা থাকলেও, শেষমেশ তা বাতিল করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। যাত্রার ঠিক আগেই প্রযুক্তিগত ত্রুটি ধরা পড়ায় ফ্লাইটটি ছাড়তে পারেনি। যাত্রীদের জানানো হয়েছে, তারা পুরো টিকিটের মূল্য ফেরত পাবেন।
AI 171-এর জায়গায় দেওয়া হয়েছিল বিমানটি
এই ফ্লাইটটি বিশেষভাবে নজরকাড়া, কারণ এটি ছিল সেই প্রথম উড়ান যা গত সপ্তাহে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত AI 171-এর জায়গা নিতে যাচ্ছিল। AI 171 গত সপ্তাহে আহমেদাবাদ থেকে উড়ে যাওয়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা ২৪১ জন যাত্রী ও ক্রু এবং মাটিতে থাকা ২৯ জনের প্রাণ যায়।
AI 159-এ ব্যবহারের কথা ছিল বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার, যেটি AI 171 দুর্ঘটনাতেও ব্যবহৃত হয়েছিল। এই মডেলের বিমান নিয়ে এখন নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
পর পর বিমানে ত্রুটি air india flight cancellation
এর মধ্যেই গত ২৪ ঘণ্টায় এয়ার ইন্ডিয়ার আরও তিনটি বিমানে কারিগরি ত্রুটি দেখা গিয়েছে৷ সান ফ্রান্সিসকো থেকে মুম্বাইগামী AI 180 ফ্লাইটের একটি ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দিলে কোলকাতায় বিরতির সময় যাত্রীদের বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। হংকং থেকে দিল্লিগামী AI 315 ড্রিমলাইনার সোমবার উড়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই ফিরে আসে, কারণ তাতে সন্দেহজনক কারিগরি সমস্যা দেখা দেয়। একই দিনে দিল্লি থেকে রাঁচিগামী আরেকটি এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস ফ্লাইট মাঝপথ থেকে ফিরে আসে।
AI 171 দুর্ঘটনার তদন্ত করছে ভারতের এয়ারক্রাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (AAIB)। উদ্ধার করা হয়েছে বিমানের ‘ব্ল্যাক বক্স’ — ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (CVR) ও ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (FDR)। তদন্তে সহায়তার জন্য এগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
একজন আন্তর্জাতিক বিমান বিশেষজ্ঞ, প্রাক্তন মার্কিন নৌবাহিনীর পাইলট ক্যাপ্টেন স্টিভ স্কাইবনার জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই র্যাম এয়ার টারবাইন (RAT) চালু হওয়া থেকেই বোঝা যায়, সম্ভবত বিমানের দুইটি ইঞ্জিনই কাজ বন্ধ করে দেয়।
ঘন ঘন এই ধরনের ঘটনা সামনে আসায় এয়ার ইন্ডিয়ার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে যাত্রীদের মধ্যে।