গত সিজনে দেশের প্রথম ডিভিশন ফুটবল টুর্নামেন্টে সাফল্য পাওয়ার লক্ষ্য ছিল চেন্নাইয়িন এফসির। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি ওয়েন কোয়েলের ছেলেদের পক্ষে। লিগ টেবিলের তলানিতে থেকেই শেষ হয়েছে এই ফুটবল টুর্নামেন্ট। যা কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি দলের সমর্থকরা। সেই হতাশা ভুলে এবারের কলিঙ্গ সুপার কাপে সাফল্য পাওয়ার লক্ষ্য থাকলেও ছিটকে যেতে হয়েছে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে শক্তিশালী মুম্বাই সিটি এফসির কাছে পরাজিত হতে হয়েছিল বিরাট বড় ব্যবধানে। যা নিঃসন্দেহে বড়সড় ধাক্কা ছিল সকলের কাছে।
আশানুরূপ ফল না হওয়ায় খুশি নয় ম্যানেজমেন্ট। তবে এই সমস্ত কিছু ভুলে বহু আগে থেকেই নতুন মরসুমের জন্য ঘর গোছানোর কাজ শুরু করে দিতে মরিয়া দক্ষিণের এই আইএসএল জয়ীরা। সেক্ষেত্রে বেশকিছু বদল যে দেখা যেতে পারে দলের অন্দরে সেই ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। যার মধ্যে আক্রমণভাগের পাশাপাশি বদল ঘটানো হতে পারে মাঝমাঠের বেশকিছু ফুটবলারদের। সেক্ষেত্রে এবার বিভিন্ন মাধ্যমের তরফে ব্যাপকভাবে উঠে আসছে একাধিক বিদেশি ফুটবলারদের নাম। আসলে দলের বেশ কিছু ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তির বৃদ্ধি করার পাশাপাশি টুর্নামেন্টে প্রভাব বিস্তারকারী কয়েকজন ফুটবলারদের দিকেও নজর রয়েছে আইএসএল জয়ী এই ফুটবল দলের।
তার মধ্যেই উঠে আসতে শুরু করেছিল এক বিশেষ তথ্য। নয় তথ্য। যে নয়া ফুটবল সিজনে ভারতীয় ফরোয়ার্ড কিয়ান নাসিরিকে (Kiyan Nassiri) নাকি নিজেদের দলে ধরে রাখতে রাজি নয় দক্ষিণের এই ফুটবল ক্লাব। হিসাব অনুযায়ী দেখলে আগামী ২০২৭ সাল পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে চুক্তি থাকলেও কিয়ানের পারফরম্যান্স নিয়ে একেবারেই সন্তুষ্ট নয় চেন্নাইয়িন ম্যানেজমেন্ট। বলাবাহুল্য, শেষ ফুটবল সিজনে আইএসএলে প্রায় ১৫টি ম্যাচ খেলেছিলেন মোহনবাগানের (Mohun Bagan) এই প্রাক্তন তারকা। যার মধ্যে মাত্র একটি অ্যাসিস্ট ছিল এই ফুটবলারের। তাছাড়া ম্যাচ টাইম নিয়ে ও দেখা দিয়েছিল সমস্যা।
আসলে অধিকাংশ সময় পরিবর্ত ফুটবলার হিসেবেই তাঁকে মাঠে নামিয়েছিল চেন্নাইয়িন। সেজন্য, দক্ষিণের এই ফুটবল দল ছেড়ে নিজের পুরনো ফুটবল ক্লাব মোহনবাগান সুপার জায়ান্টে ফিরতে মরিয়া এই ভারতীয় তারকা। এমনকি তাঁকে দলে নিতে ও রাজি কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। তবে এক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে ট্রান্সফার ফি জনিত সমস্যা। শেষ পর্যন্ত আদৌও তিনি সবুজ-মেরুনে ফেরেন কিনা সেটাই দেখার বিষয়।