বসিরহাট: ভর সন্ধ্যায় জনবহুল বাজারে এক তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে পরপর গুলি, এরপর ধারাল অস্ত্রের আঘাতে নৃশংস খুন। বসিরহাট মহকুমার গোটরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোনা এলাকায় সোমবার রাত ৯টা থেকে ৯.৩০-র মধ্যে ঘটে এই ভয়াবহ ঘটনা। নিহতের নাম আনার হোসেন গাজি ওরফে আনার মোল্লা (বয়স ২৮)।
রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতী হামলা
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, নিহত তৃণমূল কর্মী ওই সময় হাজিবাগ মোড়ে এক চায়ের দোকানের সামনে তাঁর বাইকের উপর বসে চা খাচ্ছিলেন। আচমকাই মোটরবাইকে ও পায়ে হেঁটে আসা ১২ থেকে ১৫ জন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলি লাগতেই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হয় তাঁকে।
স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
কেন খুন? basirhat tmc worker murder
ঘটনার পরেই গোটা ঘোনা গ্রামে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এত ভিড়ের মধ্যে কীভাবে দুষ্কৃতীরা এমন হিংসাত্মক হামলা চালাতে পারল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে, পুরনো শত্রুতা বা জমি সংক্রান্ত বিবাদ থেকেই এই খুন। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। ঘটনার তদন্তে নেমেছে বসিরহাট থানার পুলিশ।
রাজনৈতিক তরজা
এদিকে, এই ঘটনায় রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ মন্তব্য করেছেন, “হয়তো দেখা যাবে উনিও জমি মাফিয়া ছিলেন।” তাঁর দাবি, জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড।
নিহত যুবকের পরিবার এখনও কিছু বলতে নারাজ। তবে গ্রামবাসীদের দাবি, আনার মোল্লা একজন সক্রিয় তৃণমূল কর্মী ছিলেন এবং এলাকায় ভালো জনপ্রিয়তাও ছিল।
বহু প্রশ্ন ঘিরে থাকা এই ঘটনায় রাজনৈতিক রং লেগে যাওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। পুলিশের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ—খুনের পিছনে আসল কারণ খুঁজে বের করা ও দুষ্কৃতীদের দ্রুত গ্রেফতার করা।