কলকাতা: সোমবার সকালে রাজ্য বিধানসভা কার্যত উত্তাল হয়ে ওঠে। প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীনই শুরু হয় রাজনৈতিক স্লোগান, তারপরে ওয়াকআউট, এবং শেষপর্যন্ত অবস্থান বিক্ষোভে নেমে পড়ে বিজেপি বিধায়করা। মূল ইস্যু-রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার সংকট, এবং তা নিয়ে আলোচনা না হওয়ার বিরোধিতা।
শিক্ষা নিয়ে আলোচনার দাবি খারিজ, তারপরেই ওয়াকআউট
বিধানসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের ভেঙে পড়া শিক্ষাব্যবস্থা, স্কুলে শিক্ষকের অভাব, রাস্তায় চাকরি হারানো চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান—এই পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য একটি মুলতুবি প্রস্তাব জমা দেয় বিজেপি। তবে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তা খারিজ করে দেন, জানিয়ে দেন, বিষয়টি বিচারাধীন হওয়ায় বিধানসভায় তা নিয়ে আলোচনা সম্ভব নয়।
এই সিদ্ধান্তেই চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভার ভেতরেই শুরু হয় স্লোগান ও প্রতিবাদ। নেতৃত্বে ছিলেন কুমারগ্রামের বিধায়ক মনোজ ওঁরাও। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকলে অধ্যক্ষ তাঁকে সাসপেন্ড ঘোষণা করেন। সতর্ক করা হয় বিজেপির মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষকেও।
ওয়াকআউটের সিদ্ধান্ত ও অবস্থান বিক্ষোভ BJP Assembly Walkout
এদিন বেলা ১২টা ৭ মিনিট নাগাদ একে একে বিধানসভা কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেন বিজেপি বিধায়করা। এসে দাঁড়ান বিধানসভার গাড়ি বারান্দায়। সেখানেই চলে তাঁদের অবস্থান বিক্ষোভ। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র স্লোগান দেন তাঁরা।
ওয়াকআউট চলাকালীনও বিজেপি ভোলেনি পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি। মহেশতলায় ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক রাজনৈতিক হিংসার প্রতিবাদ জানিয়ে ‘তুলসী মঞ্চ’-এর সামনে দাঁড়িয়ে প্রায় ১৫ মিনিট ধরে চলে বিক্ষোভ।
মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণের সময়ও ছিল স্লোগান, কেন্দ্রীয় বঞ্চনা ঘিরে উত্তেজনা
উল্লেখযোগ্যভাবে, এদিনের অধিবেশনের প্রথম থেকেই ছিল উত্তেজনা। প্রশ্নোত্তর পর্বের মাঝেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা আটকে রাখার অভিযোগ তোলেন। এর প্রতিবাদে দাঁড়িয়ে স্লোগান দেন বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় ও শঙ্কর ঘোষ। এরপর থেকেই দফায় দফায় উত্তপ্ত হতে থাকে বিধানসভার আবহাওয়া।