দাপটের সাথে গত মরসুম শুরু করার ভাবনা ছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal FC)। সেজন্য প্রথমদিকে সুপার কাপ জয়ী কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতের উপরেই ভরসা রেখেছিল ম্যানেজমেন্ট। তবে কাজের কাজ কিছুই তেমন হয়নি। ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালেই ছিটকে যেতে হয়েছিল ময়দানের এই প্রধানকে। সেই হতাশা কাটিয়ে ইন্ডিয়ান সুপার লিগে ভালো পারফরম্যান্স করার লক্ষ্য থাকলে সেখানে ও মেলে হতাশা। কার্লেস কুয়াদ্রাতের তত্ত্বাবধানে পরাজিত হতে হয়েছিল প্রথম ছয়টি ম্যাচ। এমন পরিস্থিতিতে বদল করা হয় দলের কোচ। অস্কার ব্রুজনের হাতে দলের দায়িত্ব তুলে দেওয়ার পর নিজেদের পুরনো ছন্দে ফিরতে শুরু করেছিল লেসলি ক্লডিয়াস সরণির এই দল।
বিশেষ করে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের গ্ৰুপ পর্বে ভালো পারফরম্যান্স করার পর ইন্ডিয়ান সুপার লিগে ও জয়ের মুখ দেখেছিল দল। স্বাভাবিকভাবেই যা খুশি করেছিল সকল সমর্থকদের। একটা সময় সুপার সিক্সের দৌড় থেকে দল অনেকটা পিছিয়ে থাকলেও পরবর্তীতে অস্কার ব্রুজনের তত্ত্বাবধানে প্লে-অফে যাওয়ার অন্যতম দাবিদার হয়ে উঠতে শুরু করেছিল এই ফুটবল ক্লাব। যদিও সেই রাস্তা খুব একটা সহজ ছিল না। পরবর্তীতে টানা তিনটি ম্যাচে জয় আসলে ও পুনরায় ধাক্কা খেতে হয়েছিল বেঙ্গালুরু ম্যাচে। যারফলে সুপার সিক্সের দৌড় থেকে সহজেই ছিটকে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল।
সেই হতাশা কাটিয়ে পরবর্তীতে কলিঙ্গ সুপার কাপে ভালো ফুটবল খেলার লক্ষ্য থাকলেও সেটা বাস্তবায়িত হয়নি। দুর্বল কেরালা ব্লাস্টার্সের কাছে পরাজিত হয়ে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচই ছিটকে গিয়েছিল গতবারের কাপ জয়ীরা। যারফলে খালি হাতেই শেষ হয়েছে মরসুম। এক্ষেত্রে বারংবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে দলের গ্রীক ফরোয়ার্ড দিমিত্রিওস ডায়ামান্টাকোসের (Dimitrios Diamantakos) নাম। উল্লেখ্য, গত সিজনে শুরুর আগে বিরাট অর্থ চুক্তিতে তাঁকে দলে টেনেছিল মশাল ব্রিগেড। পূর্বে গোল্ডেন বুট জয় করার সুবাদে তাঁর উপস্থিতি নিঃসন্দেহে বাড়তি প্রভাব ফেলতে পারত প্রতিপক্ষের উপর। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি।
বরং হাতে গোনা মাত্র কয়েকটি গোল থেকেছে এই বিদেশি ফুটবলারের। একের পর এক সহজ সুযোগ নষ্টের মত বিষয়। যেটা ভালোভাবে নেয়নি সমর্থকরা। স্বাভাবিকভাবেই মনে করা হচ্ছিল যে নয়া সিজনে হয়তো তাঁকে আর ধরে রাখবে না ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু বর্তমানে সেই সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। অর্থাৎ নয়া মরসুমে লাল-হলুদেই খেলতে চলেছেন এই বিদেশি ফরোয়ার্ড। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। কিন্তু তিনি একানন তাঁর সাথেই আরও এক বিদেশি ফুটবলারকে দলে চূড়ান্ত করতে চায় ম্যানেজমেন্ট। সেইমতো বেশ কিছু ফুটবলারের দিকে নজর রয়েছে ময়দানের এই প্রধানের। শেষ পর্যন্ত কে আসে, জানা যাবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই।