মুম্বইয়ের আইকনিক ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত টি-২০ মুম্বই লিগের ফাইনালে মুম্বই সাউথ সেন্ট্রাল মারাঠা রয়্যালস শ্রেয়াস আইয়ারের (Shreyas Iyer) নেতৃত্বাধীন সোবো মুম্বই ফ্যালকনসকে পাঁচ উইকেটে পরাজিত করে শিরোপা জিতেছে। শ্রেয়াস আইয়ারের জন্য এটি টি-২০ ফাইনালে টানা দ্বিতীয় পরাজয়। এর আগে, ৩ জুন আহমেদাবাদে অনুষ্ঠিত আইপিএল ২০২৫-এর ফাইনালে তিনি পাঞ্জাব কিংসকে বেঙ্গালুরু রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের বিরুদ্ধে জয়ের পথে নিয়ে যেতে ব্যর্থ হন।
ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সোবো মুম্বই ফ্যালকনস ১৫৮ রানের মাঝারি স্কোর গড়ে। তবে তাদের শুরুটা ছিল হতাশাজনক। দলের আইপিএল তারকা শ্রেয়াস আইয়ার এবং অঙ্ক্রিশ রঘুবংশী বড় রান করতে ব্যর্থ হন। রঘুবংশী ১২ বলে মাত্র ৭ রান করে আউট হন, আর শ্রেয়াস ১৭ বলে ১২ রান (১টি চার, ১টি ছক্কা) করে স্পিনার বৈভব মালির বলে রিভার্স-সুইপ খেলতে গিয়ে আউট হন। ৭২ রানে চার উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়া ফ্যালকনসকে টেনে তুলেন ময়ূরেশ তান্ডেল (৩২ বলে অপরাজিত ৫০) এবং হর্ষ অঘাব (২৮ বলে অপরাজিত ৪৫)। এই দুজনের ৪৯ বলে ৮৫ রানের জুটি ফ্যালকনসকে ১৫০ রানের গণ্ডি পার করতে সাহায্য করে। মারাঠা রয়্যালসের হয়ে বৈভব মালি ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন, যিনি ছিলেন দলের সেরা বোলার। আদিত্য ধুমাল এবং ম্যাক্সওয়েল স্বামীনাথন একটি করে উইকেট নেন।
১৫৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মারাঠা রয়্যালস দুর্দান্ত শুরু করে। অধিনায়ক সিদ্ধেশ লাড (১৫) এবং ওপেনার সাহিল ভাগবন্ত জাধব (২২) মিলে মাত্র ২.৫ ওভারে ৩২ রান তুলে ফেলেন। তবে এই দুই ওপেনার দ্রুত আউট হলে রয়্যালস ৪২ রানে ২ উইকেট হারায়। এখান থেকে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার চিন্ময় সুতার ৪৯ বলে ৫৩ রান (২টি চার, ২টি ছক্কা) এবং আওয়াইস খানের ২৪ বলে ৩৮ রানের (৩টি চার, ২টি ছক্কা) দ্রুতগতির ইনিংস দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। সুতার নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিংয়ের সঙ্গে খানের ঝুঁকিপূর্ণ শট দলকে এগিয়ে রাখে। শেষ ওভারে আকাশ পারকারের বোলিংয়ে রোহান রাজে দুটি দুর্দান্ত শট খেলে ১৯.২ ওভারে জয় নিশ্চিত করেন।
ম্যাচের শুরুতে, আহমেদাবাদে সাম্প্রতিক এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনার শিকারদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে উভয় দলের খেলোয়াড়রা এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। এই জয়ের মাধ্যমে মারাঠা রয়্যালস তাদের দৃঢ়তা এবং কৌশলগত দক্ষতা প্রমাণ করেছে। যেখানে সুতার এবং খানের মতো তরুণ প্রতিভারা দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। অন্যদিকে, শ্রেয়াসের নেতৃত্বাধীন ফ্যালকনস তাদের ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে হতাশার মুখে পড়ে। এই ফাইনালে মারাঠা রয়্যালসের সমন্বিত প্রচেষ্টা তাদের এই মর্যাদাপূর্ণ শিরোপা এনে দিয়েছে।