আগের মরসুমে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। ঐতিহ্যবাহী ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়ার পর দেশের প্রথম ডিভিশন লিগ তথা আইএসএলে ভালো পারফরম্যান্স করতে মরিয়া ছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। পরাজিত হতে হয়েছিল টানা ছয়টি ম্যাচ। এমন পরিস্থিতিতে দলের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। পরবর্তীতে দলের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় অস্কার ব্রুজনের হাতে। তারপর সময় যত এগিয়েছে এই স্প্যানিশ কোচের হাত ধরেই সাময়িকভাবে নিজেদের ছন্দে ফিরেছিল ইস্টবেঙ্গল।
আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট ভালো ফল করার পর আইএসএলে ও জয়ের মুখ দেখেছিল এই ফুটবল ক্লাব। কিন্তু চোট আঘাতের সমস্যা ফের ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিল দলকে। যারফলে একটা সময় সুপার সিক্সে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা দেখার দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বিশেষ করে শক্তিশালী বেঙ্গালুরু এফসির সঙ্গে ড্র করার পরেই স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় ইস্টবেঙ্গলের। কিন্তু তবুও কলিঙ্গ সুপার কাপ নিয়ে আশায় বুক বেঁধেছিল লাল-হলুদ জনতা। সেখানেও মিলেছে হতাশা। ছিটকে যেতে হয়েছে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে। এই ধাক্কা ভুলে বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই নতুন সিজনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে লাল-হলুদ ব্রিগেড।
এক্ষেত্রে ফের অস্কার ব্রুজনের উপরেই ভরসা রেখেছে ম্যানেজমেন্ট। দল গঠনের ক্ষেত্রে এবার এই স্প্যানিশ কোচের পছন্দকেই গুরুত্ব দিতে চাইছে ম্যানেজমেন্ট। বিভিন্ন মাধ্যম সূত্রে খবর নতুন সিজনের জন্য ইতিমধ্যেই একাধিক ফুটবলারকে চূড়ান্ত করে ফেলেছে ময়দানের এই প্রধান। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ঘোষণা করা হতে পারে তাঁদের নাম। পাশাপাশি বিরাট বদল দেখা যেতে চলেছে দলের অন্দরে। আসলে আগের সিজনের এমন হতশ্রী পারফরম্যান্সের পর দলের মধ্যে যে একাধিক বদল আসবে সেটা নতুন করে বলার অপেক্ষা ছিল না। সেটাই হয়েছে এবার।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজের সোশ্যাল সাইট থেকে দলের তিন বিদেশি ফুটবলারকে বিদায় জানাল ইমামি ইস্টবেঙ্গল। যাদের মধ্যে রয়েছেন হেক্টর ইউস্তে, রিচার্ড সেলিস এবং রাফায়েল মেসি বাউলি। উল্লেখ্য গত বেশ কয়েক সপ্তাহ আগেই অবসর নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার হেক্টর ইউস্তে। স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে বিদায় জানানো ছিল কার্যত সময়ের অপেক্ষা। সেটাই হল এবার। পাশাপাশি দ্বিতীয় ট্রান্সফার উইন্ডোতে রিচার্ড সেলিস ও মেসি বাউলির মতো ফুটবলারদের দলের সঙ্গে যুক্ত করা হলেও তাঁদের পারফরম্যান্স নিয়ে খুশি ছিল না ম্যানেজমেন্ট। যারফলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে খুব একটা সমস্যা হয়নি।