কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (amit-shah) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারতের আইনি রূপান্তরের গভীর বিশ্লেষণ সমৃদ্ধ বই ‘মোদী’স নীতি শাস্ত্র: দ্য ওয়ার্ল্ড’স হিজ ওয়েস্টার’-এর প্রকাশনাকে “ভীষণ আনন্দের বিষয়” বলে প্রশংসা করেছেন। এনডিএ সরকারের ১১ বছর পূর্তির মাইলফলকে এই বইটি ভারতের আইনি কাঠামোর আমূল পরিবর্তনের একটি বিস্তৃত দলিল হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে।
সি আগরওয়ালা কর্তৃক রচিত এই বই
লন্ডনের ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অফ জুরিস্টস-এর প্রেসিডেন্ট এবং প্রখ্যাত সিনিয়র অ্যাডভোকেট ড. আদিশ সি আগরওয়ালা কর্তৃক রচিত এই বইটি মোদীর শাসনকালে ভারতের উল্লেখযোগ্য আইনি মাইলফলকগুলোর বিশদ বিবরণ তুলে ধরেছে। অমিত শাহ (amit-shah)জোর দিয়ে বলেছেন যে, এই বইটি ন্যায়বিচার, দক্ষতা এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণের উপর কেন্দ্রীভূত মোদীর শাসন দর্শনের প্রতিফলন ঘটায় এবং জাতি গঠনের এক শক্তিশালী বোধ জাগিয়ে তুলবে।
চারটি মূল স্তম্ভের উপর আলোকপাত
এই বইটি মোদীর (amit-shah) নেতৃত্বে ভারতের আইনি ব্যবস্থার পুনর্গঠনের চারটি মূল স্তম্ভের উপর আলোকপাত করে। প্রথমত, ভারতকে একটি ‘গ্লোবাল লিগাল টর্চবেয়ারার’ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যেখানে মোদীর নেতৃত্বে পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন, ডিজিটাল পরিকাঠামো এবং আর্থিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অগ্রণী আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।
ডিজিটাল পেমেন্ট, আধার-ভিত্তিক শনাক্তকরণ এবং প্রযুক্তি-চালিত শাসনের ক্ষেত্রে ভারতের অগ্রগতি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। অনেক দেশ এই মডেলগুলো গ্রহণ করেছে, যা ভারতের আইনি ও প্রযুক্তিগত নেতৃত্বের প্রমাণ। দ্বিতীয়ত, ‘মিনিমাম গভর্নমেন্ট, ম্যাক্সিমাম গভর্ন্যান্স’ নীতির মাধ্যমে মোদী নাগরিক কল্যাণের সঙ্গে দেশের সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারের একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ সমন্বয় সাধন করেছেন।
নতুন প্রণীত আইন
তৃতীয়ত, নতুন প্রণীত আইনগুলো বিচারব্যবস্থার জবাবদিহিতা জোরদার করেছে, যা সমাজের জন্য আরও সাড়াদায়ক ও দায়িত্বশীল আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে। চতুর্থত, এই বইটি এই সংস্কারগুলোর মাধ্যমে জাতীয় ঐক্য এবং প্রগতিশীল শাসনের প্রচারে মোদীর ভূমিকাকে তুলে ধরেছে।
আর্টিকল ৩৭০-এর বিলোপ
বইটির অন্যতম প্রধান আলোচ্য বিষয় হলো আর্টিকল ৩৭০-এর বিলোপ, যা জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আরও গভীরভাবে সমন্বিত করেছে। এই পদক্ষেপ ভারতের জাতীয় ঐক্যকে শক্তিশালী করেছে এবং দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি মোদীর প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করেছে।
রাম মন্দির নির্মাণ
এছাড়াও, ঔপনিবেশিক যুগের পুরনো এবং অপ্রাসঙ্গিক আইনগুলোর বিলোপ, ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার ঐতিহাসিক সংস্কার এবং অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের মতো উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলো এই বইতে বিশদভাবে বর্ণিত হয়েছে(amit-shah)। এই পদক্ষেপগুলো ভারতের আইনি ব্যবস্থাকে দেশের সামাজিক-রাজনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করেছে এবং প্রগতিশীল শাসনের পথ প্রশস্ত করেছে।
অমিত শাহ জোর দিয়ে বলেছেন (amit-shah)
অমিত শাহ (amit-shah)তার মন্তব্যে জোর দিয়ে বলেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী মোদীর শাসন দর্শন নাগরিক কল্যাণের সঙ্গে ভারতের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক ঐতিহ্যের পুনরুদ্ধারকে অবিচ্ছিন্নভাবে একীভূত করেছে। তিনি বলেন, এই বইটি পাঠকদের মধ্যে জাতি গঠনের এক শক্তিশালী বোধ জাগিয়ে তুলবে এবং আইনের রক্ষাকর্তা ও সমাজের অগ্রগতির প্রেরণাদাতা হিসেবে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উপর আলোকপাত করবে।
এই বইটি কেবল আইনি সংস্কারের একটি দলিল নয়, বরং মোদীর দৃষ্টিভঙ্গির একটি প্রতিফলন, যা ভারতকে একটি আধুনিক, শক্তিশালী এবং সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ড. আদিশ সি আগরওয়ালা, যিনি একজন প্রখ্যাত আইনজীবী এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব, তিনি এই বইয়ে মোদীর (amit-shah) শাসনকালের আইনি মাইলফলকগুলোর একটি বিশদ বিবরণ তুলে ধরেছেন। তিনি দেখিয়েছেন কীভাবে নতুন আইনগুলো বিচারব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বাড়িয়েছে।
ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার সংস্কার, যেমন ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইন, ভারতের বিচার ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর এবং নাগরিক-বান্ধব করেছে। এই সংস্কারগুলো অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এবং ন্যায়বিচার প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
ডিজিটাল পরিকাঠামো
এই বইটি আরও তুলে ধরেছে কীভাবে মোদীর (amit-shah) নেতৃত্বে ভারত ডিজিটাল পরিকাঠামো এবং আর্থিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিশ্বের নেতৃত্ব দিচ্ছে। ইউনিফায়েড পেমেন্টস ইন্টারফেস (UPI)-এর মাধ্যমে ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থা বিশ্বে একটি মডেল হিসেবে গৃহীত হয়েছে। আধার প্রকল্পের মাধ্যমে শনাক্তকরণ ব্যবস্থা সরকারি সেবাগুলোকে আরও সহজলভ্য করেছে। এই উদ্যোগগুলো ভারতের আইনি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে আধুনিকীকরণ করেছে এবং নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করেছে।
অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ ভারতের সাংস্কৃতিক পুনরুজ্জীবনের একটি প্রধান উদাহরণ। এই ঘটনা কেবল ধর্মীয় তাৎপর্য বহন করে না, বরং জাতীয় ঐক্য ও গর্বের প্রতীক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। মোদীর নেতৃত্বে এই ধরনের পদক্ষেপগুলো ভারতের ঐতিহাসিক ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধার করার পাশাপাশি আধুনিক শাসনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেছে।
আরব সাগরে নৌবাহিনীর মহড়া শুরু আজ থেকে, ১১ জুন পর্যন্ত সতর্কতা জারি
অমিত শাহের (amit-shah) মতে, এই বইটি কেবল আইনজ্ঞদের জন্য নয়, সাধারণ পাঠকদের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। এটি ভারতের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে জাতীয় গর্ব ও দায়িত্ববোধ জাগিয়ে তুলবে। মোদীর নীতি শাস্ত্র শুধুমাত্র একটি বই নয়, বরং ভারতের আইনি ও সামাজিক রূপান্তরের একটি জীবন্ত দলিল, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করবে। এই বইটি ভারতের আইনি ব্যবস্থার একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে, যা ন্যায়বিচার, দক্ষতা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।