পদপিষ্টের ঘটনায় সরকারের দায় কোথায়? মুখ্যমন্ত্রীর জবাব ঘিরে বিতর্ক

বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম – যেখানে আনন্দ আর উন্মাদনার (Bengaluru Stampede) এক অভূতপূর্ব ইতিহাস রচনা করল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। আইপিএলের ১৮ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার ট্রফি জিতে…

Karnataka CM Siddaramaiah Highlights Multiple Stampedes and Higher Death Toll at Maha Kumbh Compared to RCB

বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম – যেখানে আনন্দ আর উন্মাদনার (Bengaluru Stampede) এক অভূতপূর্ব ইতিহাস রচনা করল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। আইপিএলের ১৮ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার ট্রফি জিতে নিয়েছে বিরাট কোহলির টিম। স্টেডিয়ামের ভিতর তখন ছিল রঙ, আলো, হর্ষধ্বনি আর(Bengaluru Stampede) বিজয় উৎসবের ঢেউ।

(Bengaluru Stampede) অথচ, ঠিক সেই সময়েই স্টেডিয়ামের বাইরের চিত্র ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। সেখানে চলছিল হাহাকার, (Bengaluru Stampede) কান্না আর প্রাণ বাঁচানোর আকুতি। প্রবল ভিড়, বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি, আর তার ফলেই ঘটে যায় এক ভয়াবহ পদপিষ্টের ঘটনা। কমপক্ষে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত প্রায় ৫০ জন। এই ঘটনায় গোটা কর্নাটক জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে, আর রাজ্য সরকার চরম সমালোচনার মুখে।(Bengaluru Stampede) 

   

অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন—যখন এমন এক বিপর্যয় ঘটে(Bengaluru Stampede) গেল, তখন কীভাবে ভিতরে এমন উৎসব চলতে পারে? কীভাবে বিজয়ের আনন্দে মাতোয়ারা থাকতে পারে একদল মানুষ, যখন বাইরেই প্রাণ হারাচ্ছেন সাধারণ নাগরিক? এই মানবিক বৈপরীত্য নিয়েই এখন তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি ও সামাজিক পরিমণ্ডল।(Bengaluru Stampede) 

এই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া নিজেও কঠিন(Bengaluru Stampede) প্রশ্নের মুখে পড়েন। তিনি নিজে ওই সময় স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন, যেখানে সরকারি পর্যায়ে ভিআইপি উপস্থিতি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বিজয় উদ্‌যাপনের ব্যবস্থা চলছিল। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “এই ধরনের একাধিক(Bengaluru Stampede) পদপিষ্টের ঘটনা ঘটেছে অতীতে। এমনকী, এর থেকেও ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটেছে। কুম্ভ মেলাতেও হয়েছিল, সেখানেও ৫০-৬০ জন মারা গিয়েছিলেন।” যদিও তিনি জানান, এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি পরিস্থিতির অবনতি বা সরকারের ব্যর্থতাকে ন্যায্যতা দিচ্ছেন না।(Bengaluru Stampede) 

তবে বিরোধী দলগুলির বক্তব্য, এই মন্তব্য আসলে এক(Bengaluru Stampede) ধরনের দায় এড়ানোর কৌশল। মানুষের মৃত্যুতে সংবেদনশীলতা না দেখিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্য আরও জনরোষ তৈরি করেছে। কংগ্রেস সরকারের উপর চাপ বেড়েছে, বিশেষত নিরাপত্তা ও ভিড় নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনিক ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এত বড় মাপের একটি ম্যাচের দিন, যেখানে লাখো মানুষ জমায়েত হবে তা জানা সত্ত্বেও, পর্যাপ্ত পুলিশ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না বলে অভিযোগ।(Bengaluru Stampede) 

Advertisements

এদিকে আরসিবি টিমের জয়ও এখন কিছুটা বিতর্কিত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে। বহু সমর্থক ও বিশিষ্টজন সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন, “উৎসব থামাতে না হোক, অন্তত শোকপ্রকাশ করা বা কিছুক্ষণের জন্য অনুষ্ঠান স্থগিত রাখা উচিত ছিল। এই ট্রফি উৎসব হতে পারত আরেকদিন। কিন্তু যে প্রাণগুলো গেল, তাদের ফিরিয়ে আনা যাবে না।(Bengaluru Stampede)

তবে অন্যপক্ষের যুক্তি—একটি জয় বহু বছরের স্বপ্নপূরণ, সেটাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। উৎসব হতেই পারে, তবে প্রশাসনিক দায়িত্বে গাফিলতি হলে সেটার দায় সরকারকেই নিতে হবে(Bengaluru Stampede) 

সর্বশেষে, এই ঘটনার মাধ্যমে আমাদের চোখে আরও একবার স্পষ্ট হল—সমাজের একাংশ উৎসবে ভাসলেও অন্য অংশ ডুবে থাকে শোকে। প্রশাসনের দায়ভার, মানবিকতা এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার প্রশ্নে যেন ভবিষ্যতে এমন আরেকটি হৃদয়বিদারক দৃশ্য আমাদের দেখতে না হয়। চিন্নাস্বামীর বাইরের সেই করুণ আর্তনাদ যেন কেবল একটি সংখ্যা না হয়ে থেকে যায়—তার থেকে শিখে ভবিষ্যতের পথ হোক আরও মানবিক, আরও সংবেদনশীল।(Bengaluru Stampede)