বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে (Anubrata Mandal) থানার আইসি-কে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজের অভিযোগে যে অডিও ভাইরাল হয়েছে, তা ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে তুমুল আলোড়ন শুরু হয়েছে। শুক্রবার সেই অডিওর ভিত্তিতে বোলপুর থানায় অনুব্রতের(Anubrata Mandal) বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের হয়, যাতে রয়েছে দুটি জামিন অযোগ্য ধারাও। কিন্তু রবিবার সকালে ঘটনাটি এক নতুন মোড় নেয়, যখন অনুব্রতের ‘ছায়াসঙ্গী’ দেবব্রত সরকার দাবি করেন—“ওই ফোন অনুব্রত মণ্ডলের নয়, ওটা AI দিয়ে বানানো!(Anubrata Mandal)
এই বক্তব্যেই ঘুরে গেল গোটা বিতর্কের অভিমুখ। দেবব্রত সরকার, যিনি কেষ্ট মণ্ডলের (Anubrata Mandal) অন্যতম ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত, তিনি থানার বাইরে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “অনুব্রত মণ্ডল কোনও (Anubrata Mandal) ফোন করেননি। এটা সম্পূর্ণভাবে একটি ষড়যন্ত্র। সেই অডিও ক্লিপ AI দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। তাতে তাঁর কণ্ঠ অনুকরণ করা হয়েছে মাত্র। বিজেপি বা দলের ভিতরের কেউ এর পিছনে থাকতে পারে।”(Anubrata Mandal)
অবশ্য এই দাবি যে খুব সহজে কেউ মেনে নিচ্ছেন তা নয়। বরং আরও (Anubrata Mandal) কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সামনে এসেছে। প্রথমত, (Anubrata Mandal) যদি অডিওটি সত্যিই এআই দিয়ে তৈরি হয়, তাহলে অনুব্রত মণ্ডল কেন লিখিতভাবে ক্ষমা চাইলেন? এর জবাবও তৈরি ছিল দেবব্রত সরকারের কাছে।(Anubrata Mandal) তিনি বলেন, “দল যা নির্দেশ দিয়েছে, অনুব্রত তাই করেছেন। তিনি দলের অনুগত সৈনিক। দল যা বলবে তাই তিনি করবেন।”
এই বক্তব্য রাজনীতির অন্দরেও তোলপাড় ফেলেছে। বিরোধীরা বলছে, ঘটনা সামনে আসার পর তৃণমূল প্রথমে কিছু বলল না, দলীয় নেতৃত্বও নীরব থাকলেন।(Anubrata Mandal) অথচ এখন কেষ্ট (Anubrata Mandal) ঘনিষ্ঠ দাবি করছেন, সবটাই সাজানো, এআই ব্যবহার করে ষড়যন্ত্র! তাহলে সেই সময়ে পুলিশের কাছে বিষয়টি জানানো হয়নি কেন? কেন এতদিন চুপ করে ছিলেন?(Anubrata Mandal)
একইসঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, যদি ফোনটি সত্যিই কৃত্রিমভাবে তৈরি হয়, তাহলে অনুব্রত নিজে বা তাঁর ঘনিষ্ঠ কেউ পাল্টা মামলা করলেন না কেন? থানায়(Anubrata Mandal) AI কণ্ঠস্বর ব্যবহার করে মানহানির মামলা করা যেত। কিন্তু তা না করে, কেন ক্ষমা চেয়ে নেওয়া হলো? আবার সেই ক্ষমাও যদি দলের নির্দেশে হয়ে থাকে, তাহলে কি দলের ভিতরে থেকেই অনুব্রতকে একপ্রকার ‘দোষী’ প্রমাণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে(Anubrata Mandal)
এদিকে বিরোধী দলগুলি ইতিমধ্যেই এই ঘটনাকে হাতিয়ার(Anubrata Mandal) করে রাজ্য সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে শুরু করেছে। তাঁদের বক্তব্য, একজন প্রভাবশালী নেতার(Anubrata Mandal) বিরুদ্ধে যদি এমন গুরুতর অভিযোগ ওঠে এবং তাঁর ঘনিষ্ঠরা সেটা এআই বলে উড়িয়ে দিতে চান, তাহলে এ রাজ্যে প্রকৃত তদন্তের আর কী প্রয়োজন? তাঁরা দাবি তুলছেন, বিষয়টি নিয়ে নিরপেক্ষ ফরেনসিক পরীক্ষা হওয়া জরুরি।(Anubrata Mandal)
সাধারণ মানুষও এই নতুন তত্ত্বকে ঘিরে বিভ্রান্ত। প্রযুক্তি কতটা শক্তিশালী তা সকলেই মানছেন, কিন্তু রাজনীতির আড়ালে সেই প্রযুক্তিকে ঢাল করে অপরাধ থেকে রেহাই পাওয়া উচিত কি না, সেই প্রশ্নও উঠছে।(Anubrata Mandal)
এই মুহূর্তে কেবল একটাই বিষয় স্পষ্ট—বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) ফোন বিতর্ক এখন আর শুধুই এক অডিও ক্লিপের ইস্যু নয়। তা পরিণত হয়েছে রাজ্য রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে। তৃণমূল নেতৃত্ব এখনও পর্যন্ত পুরো বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেনি। অন্যদিকে, কেষ্ট ঘনিষ্ঠর নতুন তত্ত্ব আরও জটিলতা তৈরি করেছে।(Anubrata Mandal)
শেষ কথা—‘AI ফোন না আসল ফোন’ সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি। আর ততদিন এই বিতর্ক ঘিরে রাজ্য রাজনীতি আরও উত্তপ্ত হতে চলেছে, তা বলাই যায়(Anubrata Mandal)