সাফল্য পাওয়ার আশা নিয়ে গত সিজনের শুরুতে নতুন কোচ নিয়োগ করেছিল কেরালা ব্লাস্টার্স (Kerala Blasters)। এক্ষেত্রে ইভান ভুকোমানোভিচের পরিবর্তে মিকেল স্ট্যাহরের হাতে দলের দায়িত্ব তুলে দিয়েছিল ম্যানেজমেন্ট। পরবর্তীতে তাঁর নির্দেশ মতোই একের পর এক ফুটবলার চূড়ান্ত করেছিল দক্ষিণের এই দল। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ডুরান্ড কাপ হোক কিংবা দেশের প্রথম ডিভিশনের ফুটবল লিগ তথা আইএসএল। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই তথৈবচ পরিস্থিতি দেখা দিয়েছিল কেরালার। এই সবদিক খতিয়ে দেখেই পরবর্তীতে এই সুইডিশ কোচ সহ সকল সাপোর্টিং স্টাফেদের বিদায় জানিয়ে দিয়েছিল কেরালা।
সেই সময় অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে টমাস টচর্জ এবং থেক্কাথারা পুরুষোথামণ দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। তাঁদের দৌলতেই জয়ের সরণিতে ফিরেছিল দক্ষিণের এই ফুটবল ক্লাব। কিন্তু কলিঙ্গ সুপার কাপের আগেই নয়া কোচ নিয়োগে তৎপর ছিল এই ক্লাব। সেই অনুযায়ী দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছিল স্প্যানিশ কোচ ডেভিড কাতলার হাতে। মনে করা হচ্ছিল এই নতুন কোচের হাত ধরেই হয়তো প্রথম সাফল্যের মুখ দেখবে কেরালা। কিন্তু সেটা আর সম্ভব হয়নি। সর্বভারতীয় কাপ টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে ইমামি ইস্টবেঙ্গল দলকে হারানো সম্ভব হলেও আটকে যেতে হয়েছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের কাছে।
বলতে গেলে তাঁদের রিজার্ভ বেঞ্চের ফুটবলারদের কাছেই কার্যত নাস্তানাবুদ হয়েছিল কোয়ামি পেপরাদের। এমন পারফরম্যান্স নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই হতাশ ছিল সকলে। সেই সমস্ত কিছু ভুলে অনেক আগে থেকেই নয়া মরসুমের জন্য ঘর গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে ম্যানেজমেন্ট। এক্ষেত্রে নাকি তাঁদের নজর গিয়ে পড়েছে টুর্নামেন্ট কাঁপানো একাধিক হাইপ্রোফাইল ফুটবলারের দিকে। তবে শুধুমাত্র ফুটবলার নয়। দলের সাপোর্টিং স্টাফেদের মধ্যে ও যে আমূল বদল আসতে চলেছে সেই ইঙ্গিত ও মিলেছিল আগেই। সেটাই হল এবার।
গত শনিবার বিকেলে নিজেদের সোশ্যাল সাইট থেকে দলের তিনজন সাপোর্টিং স্টাফেদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা জানিয়ে দেয় দক্ষিণের এই ফুটবল ক্লাব। যাদের মধ্যে রয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন কোচ টমাস টচর্জ থেকে শুরু করে ফিটনেস কোচ ওয়ার্নার মার্টেনস এবং গোলকিপার কোচ স্লাভেন প্রোগোভেকি। সেখানে এই তিনজনের নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি লেখা রয়েছে “বছরের পর বছর ক্লাবের প্রতি নিবেদিত প্রাণ থাকায় আমরা তাঁদের কৃতজ্ঞতা জানাই। আমরা তাঁদের ভবিষ্যতের সাফল্য কামনা করি।”