স্বর্ণমন্দির লক্ষ্য করে হামলার চেষ্টা! পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র গুঁডিয়ে দেয় ভারতের এয়ার ডিফেন্স

নয়াদিল্লি: ভারতের তরফে সীমান্তের ওপারে সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলিতে চালানো ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর জবাবে পাকিস্তান একযোগে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা চালায় ভারতের একাধিক শহরে। সেই তালিকায় ছিল…

Pakistan targeted Amritsar

নয়াদিল্লি: ভারতের তরফে সীমান্তের ওপারে সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলিতে চালানো ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর জবাবে পাকিস্তান একযোগে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা চালায় ভারতের একাধিক শহরে। সেই তালিকায় ছিল পাঞ্জাবের অমৃতসরে অবস্থিত শিখদের অন্যতম পবিত্র ধর্মস্থান স্বর্ণমন্দিরও। তবে ভারতীয় সেনা আগে থেকেই প্রস্তুতি ছিল৷ যার জেরে পাকিস্তানের এই আক্রমণ একেবারে ব্যর্থ হয়ে যায়। কোনও ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্রই স্বর্ণমন্দির বা আশপাশের এলাকায় আঘাত হানতে পারেনি।

সেনার আগাম সতর্কতা: ধর্মস্থানকেই লক্ষ্য করবে পাকিস্তান

সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান যাতে কোনও ধর্মস্থান বা সাধারণ নাগরিকদের উপর হামলা চালাতে না পারে, সে জন্য আগেভাগেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। ১৫ নম্বর ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (GOC), মেজর জেনারেল কার্তিক সি. শেশাদ্রি বলেন – “আমরা আগে থেকেই বুঝেছিলাম, পাকিস্তান সেনার হাতে কোনও বৈধ সামরিক টার্গেট নেই। তাই তারা সাধারণ মানুষ বা ধর্মীয়স্থানকেই নিশানা করবে। এর মধ্যে স্বর্ণমন্দির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রতীকী ধর্মস্থান হওয়ায়, সেখানেই অতিরিক্ত ও আধুনিক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম মোতায়েন করা হয়।”

   

তিনি আরও জানান, “৮ মে পাকিস্তান বিপুল পরিমাণে ড্রোন ও লং রেঞ্জ মিসাইল পাঠায় স্বর্ণমন্দিরের দিকে। কিন্তু ভারতীয় সেনার সাহসী ও সদা প্রস্তুত এয়ার ডিফেন্স গানেরা সবক’টি টার্গেট আকাশেই ধ্বংস করে দেয়। মন্দিরের গায়ে আঁচটুকুও লাগতে দেওয়া হয়নি।”

‘অপারেশন সিঁদুর’: ভারতের প্রতিরোধ অভিযান Pakistan targeted Amritsar

এর আগে ভারত সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সীমান্তের ওপারে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায়। এই অভিযানে পাকিস্তানের ৯টি স্থানে আঘাত হানা হয় — যেগুলি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির মূল ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।

সেনা জানিয়েছে, “এই সমস্ত জায়গায় অত্যন্ত নিখুঁতভাবে হামলা চালানো হয়। আমরা নিশ্চিত করেছিলাম, যেন পাকিস্তানের কোনও সেনা বা সাধারণ নাগরিকের স্থাপনায় আঘাত না লাগে। আমাদের টার্গেট ছিল শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদীদের অবকাঠামো।”

অত্যাধুনিক এয়ার ডিফেন্সে ‘শূন্য ক্ষয়ক্ষতি’

সেনা জানিয়েছে, পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় তারা একাধিক ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র, মাইক্রো UAV ও লোইটারিং মিউনিশন ব্যবহার করেছিল। তবে ‘আকাশ মিসাইল সিস্টেম’, L-70 এয়ার ডিফেন্স গান, রাডার সিস্টেম ও অন্যান্য আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে সমস্ত হামলা রুখে দেওয়া সম্ভব হয়।

Advertisements

 সেনা সূত্রের খবর, চার দিন ধরে পাকিস্তান লাগাতার হামলা চালালেও ভারতের কোনও বেসামরিক পরিকাঠামো বা ধর্মস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। স্বর্ণমন্দির সম্পূর্ণ নিরাপদ রয়েছে৷

চার দিনের টানাপোড়েনের পর যুদ্ধবিরতি

চারদিন ধরে চলে এই উত্তেজনা। অবশেষে দুই দেশই যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তে সম্মত হয়। যদিও সীমান্তে সতর্কতা বজায় রয়েছে এবং ভারতীয় সেনা পুরোপুরি তৎপর।

অতীতেও ক্যানসারের মতো ছড়াতে চেয়েছিল হামলা

পাকিস্তানের এই হামলার পর অনেকেই মনে করছেন, ধর্মস্থানে হামলা করে তারা একপ্রকার মানসিক, সামাজিক ও ধর্মীয় উত্তেজনা ছড়াতে চেয়েছিল। তবে ভারতীয় সেনার আগে থেকে প্রস্তুতি এবং নিখুঁত কৌশলের কারণে সেই ষড়যন্ত্র পুরোপুরি ব্যর্থ হয়।

Bharat: India successfully thwarts Pakistan’s drone and missile attack targeting Amritsar, including the Golden Temple, in retaliation for ‘Operation Sindoor.’ Indian Army’s preparedness ensured no damage.