অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গ্রেপ্তার প্রাক্তন ছাত্র, উত্তপ্ত যাদবপুর

শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) শিক্ষাবন্ধু সমিতির অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে, যা পুরো ক্যাম্পাসে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। এই ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যিনি…

Jadavpur University Incident: Court Intervention, FIR Filed Based on Indranuj's Complaint

শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) শিক্ষাবন্ধু সমিতির অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে, যা পুরো ক্যাম্পাসে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। এই ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র। তার নাম মহম্মদ শাহিল আলি। তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তনী। বর্তমানে তিনি একটি বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত। 

অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশ তাকে সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে। শনিবার সকাল থেকেই যাদবপুর ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। মন্ত্রীদের সামনে আন্দোলন এবং ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিবাদ চলছিল, যার মধ্যে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় যাদবপুর থানায় উভয়পক্ষের মধ্যে পাঁচটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মন্ত্রীকে বাধা দেওয়া, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা এবং অগ্নিসংযোগের মামলা।

kolkata24x7-sports-News

   

পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, অগ্নিসংযোগের মামলার পাশাপাশি আরও কয়েকটি মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে শ্লীলতাহানির, ছিনতাইয়ের এবং বেপরোয়া গাড়ি চালানোর অভিযোগও রয়েছে। পুলিশ এই ঘটনার সবদিক নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। গ্রেপ্তারকৃত যুবক মহম্মদ শাহিল আলি একসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন, তবে বর্তমানে তিনি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করেন। তার গ্রেপ্তারির ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও পুলিশ আরও গভীরভাবে ঘটনার তদন্ত করছে।

শনিবার রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টা নাগাদ ক্যাম্পাসের নিরাপত্তারক্ষীরা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) শিক্ষাবন্ধু সমিতির অফিসে আগুন জ্বলতে দেখে। বিষয়টি দ্রুত দমকলকে জানানো হয় এবং দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কীভাবে আগুন লেগেছিল, বা কারা এর পেছনে ছিল, তা এখনো স্পষ্ট নয়। কিছু লোকের ধারণা, এই ঘটনার পেছনে তৃণমূল বিরোধী কোনো ছাত্র সংগঠন থাকতে পারে, তবে এটি নিয়ে এখনও কোন স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

তদন্তকারীরা এই ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন। ক্যাম্পাসে উত্তেজনা এবং ভাঙচুরের ঘটনা বাড়তে থাকলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এমনকি, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্র আন্দোলন আরও তীব্র হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।

এই অগ্নিসংযোগের ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক বা অন্য কোনো কারণ রয়েছে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, যেহেতু ঘটনাটি রাজনৈতিক উত্তেজনার মাঝে ঘটেছে, তাই এর পেছনে কোনো বড় পরিকল্পনা থাকতে পারে। তবে পুলিশ এখনও স্পষ্টভাবে কিছু জানায়নি।