বিগত কয়েক মরসুম ধরেই অনবদ্য পারফরম্যান্স থেকেছে মুম্বাই সিটি এফসির (Mumbai City FC)। যারফলে অনায়াসেই ইন্ডিয়ান সুপার লিগের পাশাপাশি শিল্ড জয় করেছে দেশের বানিজ্য নগরীর এই ফুটবল ক্লাব। এমনকি শেষ সিজনে ও সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে শক্তিশালী মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে পরাজিত করে আইএসএল জয়লাভ করেছিল পেট্রো ক্র্যাটকির ছেলেরা। সেই নিয়ে যথেষ্ট খুশির আমেজ দেখা দিয়েছিল সমর্থকদের মধ্যে। কিন্তু এবারের এই মরসুমের শুরুটা খুব একটা ইতিবাচক ছিল না মুম্বাই সিটি এফসির। প্রথম ম্যাচেই আটকে যেতে হয়েছিল শক্তিশালী মোহনবাগানের কাছে।
তারপর দ্বিতীয় ম্যাচ থেকে জয়ে ফেরার পরিকল্পনা থাকলেও সেটা বাস্তবায়িত হয়নি। আটকে যেতে হয়েছিল জামশেদপুর এফসির কাছে। পরবর্তীতে ফের দল ঘুরে দাঁড়ালেও সেটা বজায় থাকেনি বেশিদিন। চেন্নাইয়িন এফসি থেকে শুরু করে পাঞ্জাব এফসি হোক কিংবা নর্থইস্ট ইউনাইটেড। আইএসএলের একাধিক ফুটবল দলের কাছে আটকে যেতে হয় রনবীর কাপুরের এই আইএসএল জয়ী দলকে। স্বাভাবিকভাবেই প্রভাব পড়েছিল লিগ টেবিলে। সেই নিয়ে হতাশ ছিল সকল সমর্থকরা। তবে সময়ের সাথে সাথে দ্বিতীয় লেগের শুরু থেকেই ঘুরে দাঁড়ায় মুম্বাই।
বদলাতে শুরু করেছে গোটা পরিস্থিতি। মূলত, নতুন বছরের শুরু থেকেই দুরন্ত ছন্দে ধরা দিয়েছে দেশের বানিজ্য নগরীর এই ফুটবল ক্লাব। অনায়াসেই তাঁরা পরাজিত করেছে কলকাতা ময়দানের অন্যতম প্রধান ইমামি ইস্টবেঙ্গল দলকে। পরবর্তী ম্যাচে জামশেদপুর এফসির কাছে ধাক্কা খেতে হলেও সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি লালিয়ানজুয়ালা ছাংতেদের। বর্তমানে ২০ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে মুম্বাই শিবির। পূর্বে প্রথম দুইয়ের লড়াইয়ে দল থাকলেও এবার বদলে গিয়েছে সমস্ত কিছু।
সেইসাথে অন্যান্য মরসুম গুলির তুলনায় এবার যেন অনেকটাই অফ কালার রয়েছেন দলের গোলরক্ষক ফুরবা লাচেনপা। নিজের এমন পারফরম্যান্স নিয়ে যথেষ্ট হতাশ তিনি। হায়দরাবাদ ম্যাচের আগে সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বলেন, ” ব্যক্তি এবং দল হিসেবে আমাদের আরও অনেক বেশি দায়িত্ব নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা এখন পয়েন্ট টেবিলের যেখানে আছি, সেখানে আমরা কখনও থাকতে চাইনি। বিশেষ করে সিজনের শুরুতে
আমরা আমাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলাম, কিন্তু আমরা তা অর্জন করতে পারিনি। এখন সুপার সিক্সে নিজেদের নিশ্চিত করাই অন্যতম লক্ষ্য সকলের কাছে।”