ডার্বি জিতে নতুন স্বপ্ন মশাল ব্রিগেডের, সহজ অঙ্কে প্লে-অফ

রবিবার ডার্বি জয়ে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC) সমর্থকরা নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। মহামেডানকে হারানোর পর দলের পারফরম্যান্সে কিছুটা উজ্জ্বলতা দেখা দিয়েছে, যা তাদের…

Oscar Bruzon coaching East Bengal FC qualified into AFC Challenge League Quarter Final

রবিবার ডার্বি জয়ে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC) সমর্থকরা নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। মহামেডানকে হারানোর পর দলের পারফরম্যান্সে কিছুটা উজ্জ্বলতা দেখা দিয়েছে, যা তাদের সুপার সিক্সে (ISL Play OFF) ওঠার আশার পালে হাওয়া লাগিয়েছে। তবে এই স্বপ্নের পথে রয়েছে নানা বাধা, যা একে একে পেরোতে হবে লাল-হলুদ ব্রিগেডকে। এখনও পর্যন্ত ২১ পয়েন্ট নিয়ে ইস্টবেঙ্গল অবস্থান ১১ নম্বরে। সামনে রয়েছে আরও চারটি ম্যাচ, যার মধ্যে প্রতিটি ম্যাচেই লাল-হলুদদের জন্য বড় ব্যবধানে জয় প্রয়োজন। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে শুধু তাদের পারফরম্যান্সের উপর নয়, বরং অন্য দলের ফলাফলের উপরও।

   

ইস্টবেঙ্গলকে নকআউট পর্বে যাওয়ার জন্য মোট ৩৩ পয়েন্টে পৌঁছাতে হবে। তারা এখনও ২১ পয়েন্ট নিয়ে ১১ নম্বরে অবস্থান করছে, আর সামনে রয়েছে পাঞ্জাব এফসি, হায়দরাবাদ এফসি, বেঙ্গালুরু এফসি এবং নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে চারটি ম্যাচ। অর্থাৎ, এই চারটি ম্যাচে তারা যদি জয়লাভ করে এবং যথাযথ গোল পার্থক্য বজায় রাখতে পারে, তাহলে ৩৩ পয়েন্টে পৌঁছানো সম্ভব। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন হবে নির্দিষ্ট ফলাফল এবং অন্যান্য দলগুলির কাছ থেকে সহায়তা।

পাঞ্জাব, হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু এবং নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে জয় ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই অস্কার ব্রুজোর (Oscar Bruzon) দলের সামনে। বিশেষ করে গোল পার্থক্য বৃদ্ধির জন্য বড় ব্যবধানে জয়লাভ করা অত্যন্ত জরুরি। প্রত্যেকটি ম্যাচেই তাদের জন্য সম্ভাবনা অপেক্ষা করছে, কিন্তু এভাবে এক অঙ্ক সফল হতে গেলে বাকি দলের ফলাফলও একেবারে সুবিধাজনক হতে হবে।

নকআউটের আশা বাঁচিয়ে রাখার জন্য লাল-হলুদ সমর্থকরা চাইবেন, নর্থইস্ট ইউনাইটেড, বেঙ্গালুরু এফসি এবং মুম্বই সিটি এফসি যেন তাদের বাকি ম্যাচগুলোতে বড় ব্যবধানে হারায়। এর মধ্যে বেঙ্গালুরু এবং নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচও রয়েছে। এছাড়া, নর্থইস্ট ইউনাইটেড-বেঙ্গালুরু এবং মুম্বই-বেঙ্গালুরু ম্যাচে ড্র হলে, তবেই লাল-হলুদদের জন্য এক ধরণের সুবিধা তৈরি হবে। অন্যথায়, কোনো দল যদি জেতে, তাহলে তাদের জন্য নকআউট আশা শেষ হয়ে যাবে।

একদিকে যেমন ইস্টবেঙ্গলকে তাদের বাকি ম্যাচগুলোতে জয় লাভের পাশাপাশি বড় গোল পার্থক্য বজায় রাখতে হবে, তেমনি অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গলের আশাকে নষ্ট করতে পারে ওডিশা এফসি, কেরালা ব্লাস্টার্স, পাঞ্জাব এফসি, চেন্নাইয়িন এফসি। এই দলগুলিও সুপার সিক্সে যাওয়ার দৌড়ে রয়েছে এবং তাদের পয়েন্ট সংগ্রহে দ্রুত পরিবর্তন আসতে পারে। বর্তমানে পয়েন্ট টেবিলে এগিয়ে থাকা এই দলগুলোর কাছ থেকে ইস্টবেঙ্গলকে পেছনে ফেলা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ফুটবল এক অঙ্কের খেলা হলেও, এই খেলায় আছে আকস্মিক বিপর্যয়ের ঝুঁকি। যে কোনো মুহূর্তে কিছু ভুল কিংবা ভাগ্যের খেলায় সব কিছু পাল্টে যেতে পারে। তাই শেষ পর্যন্ত আশা ছাড়ছেন না মশাল সমর্থকরা। তারা বিশ্বাস করেন, তাদের দলের জন্য সুপার সিক্সে যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যাওয়া আগে, মাঠে শেষ বাঁশি বাজানো অবধি সংগ্রাম করতে হবে। ৩৩ পয়েন্ট সংগ্রহ করে টেবিলের চতুর্থ স্থানে শেষ করার জন্য লাল-হলুদ ব্রিগেডে রয়েছে অগণিত চ্যালেঞ্জ, তবে সবার নজর থাকবে, ফুটবল বিধাতা কি এবার তাদের পক্ষে সহায় হবেন?

তাহলে, ইস্টবেঙ্গল কি পারবে সব বাধা পেরিয়ে নকআউট পর্বে পৌঁছাতে? তাদের এই পথচলা এখন রীতিমত যুদ্ধক্ষেত্রের মতো, যেখানে প্রতিটি পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লাল-হলুদ সমর্থকরা তাদের দলের জন্য দাঁড়িয়ে আছেন, আশা করছেন যে শেষ পর্যন্ত ফুটবল জয়ের পথে তাদের পাশে দাঁড়াবে।