সাম্প্রতিক সময়ে দাঁড়িয়ে দেশের ক্লাব ফুটবলের ক্ষেত্রে বারংবার প্রশ্নের মুখে পড়ছে রেফারির (Refereeing Issues in Football) ভূমিকা। ডুরান্ড কাপের মতো ঐতিহ্যবাহী ফুটবল টুর্নামেন্ট হোক কিংবা ইন্ডিয়ান সুপার লিগের মতো দেশের প্রথম ডিভিশন ফুটবল লিগ। কিংবা আইলিগ। বিগত কয়েক মরসুম ধরেই ম্যাচ রেফারির সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে চূড়ান্ত অখুশি থেকেছে ক্লাব গুলি। আসলে রেফারির বেশকিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্তের মাশুল গুনতে হচ্ছে দল গুলিকে। যার থেকে রেহাই পায়নি কলকাতা ময়দানের অন্যতম প্রধান তথা ইমামি ইস্টবেঙ্গল। এই পরিস্থিতিতে একাধিকবার ‘ভিএআর’ প্রযুক্তি ব্যবহারের দাবি উঠলেও তা খুব একটা কাজে আসেনি।
গত কয়েক মাস ধরেই এই নিয়ে উঠে আসতে শুরু করেছিল একাধিক তথ্য। শোনা যাচ্ছিল, বিশ্বের অন্যান্য দেশের প্রথম ডিসিশন লিগের মতো আইএসএলে ও চালু হবে ‘ভিএআর’ প্রযুক্তি। যদিও সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে রেফারির এমন বিতর্কিত সিদ্ধান্তের জেরে একাধিক পয়েন্ট খোয়াতে হয়েছে লেসলি ক্লডিয়াস সরণির এই ফুটবল দলকে। সেই নিয়ে যথেষ্ট হতাশ ছিলেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। এমন পরিস্থিতিতে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের পাশাপাশি রেফারিং অ্যাসোসিয়েশনের কাছে দ্বারস্থ হয়ে ও সেরকম কাজের কাজ কিছুই হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই এই সমস্যার সুরাহার আশায় কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছে দ্বারস্থ হয়েছিলেন লাল-হলুদ কর্তারা।
সেই অনুযায়ী গত ২রা ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাসভবনে উপস্থিত ছিলেন ইমামি ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাবের দুই প্রতিনিধি। যাদের মধ্যে ছিলেন সৈকত গাঙ্গুলি এবং ক্লাব শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। যেখানে তাঁদের তরফে উল্লেখ করা হয়েছে গোটা বিষয়টি। এক্ষেত্রে তাঁর তরফে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য প্রয়োজনে তাঁর দফতর থেকে অবজার্ভার নিয়োগ করার পাশাপাশি পুনরায় এমন ঘটনা ঘটলে সেই সম্পর্কে অবগত করার কথা ও বলা হয়েছে। আসলে ফুটবল মাঠে এমন সিদ্ধান্ত কোনও দলের ক্ষেত্রেই যে অভিপ্রেত নয় সেটা উঠে এসেছে ব্যাপকভাবে।
সেই সাথে আরও জানা গিয়েছে, আগামী ১লা আগস্ট ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাবের প্রতিষ্ঠা দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে নাকি তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ময়দানের এই প্রধানের তরফে। কিন্তু এক্ষেত্রে আদৌও কতটা প্রভাব পড়ে দেশের ক্লাব ফুটবলে সেটাই বড় প্রশ্ন।