তিন ম্যাচ পর ফের ধাক্কা খেল মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব (Mohammedan SC)। দুরন্ত পারফরম্যান্সের মধ্য দিয়ে এই ফুটবল সিজন শুরু করলেও পরবর্তীতে ছন্দ হারাতে শুরু করে কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। স্বাভাবিকভাবেই প্রভাব পড়তে শুরু করে পয়েন্ট টেবিলে। একটা সময় কলকাতা ময়দানের বাকি দুই প্রধানের থেকে অনেকটাই এগিয়ে থাকলেও একের পর এক ম্যাচে পরাজিত হওয়ার দরুণ পয়েন্ট টেবিলের অনেকটাই পিছলা পড়তে হয় সাদা-কালো ব্রিগেডকে। যা নিঃসন্দেহে হতাশ করেছিল সকল সমর্থকদের। তবে নতুন বছরের শুরুটা খুব একটা খারাপ ছিল না ব্ল্যাক প্যান্থার্সদের।
শক্তিশালী নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিপক্ষে অমীমাংসিত ফলাফলের মধ্যে দিয়ে নতুন বছর শুরু করেছিল মহামেডান। তারপর দ্বিতীয় ম্যাচেই তাঁরা পরাজিত করেছিল শক্তিশালী বেঙ্গালুরু এফসিকে। যা নিঃসন্দেহে বড়সড় চমক ছিল সকলের কাছে। তারপর ওয়েন কোয়েলের শক্তিশালী চেন্নাইয়িন এফসির বিপক্ষে পিছিয়ে থেকে ও ছন্দে ফিরেছিল রেড রোডের এই ফুটবল ক্লাব। গত রবিবার অ্যাওয়ে ম্যাচে সেই পারফরম্যান্স ধরে রাখার লক্ষ্য থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি। সেদিন অ্যাওয়ে ম্যাচে শক্তিশালী মুম্বাই সিটি এফসির বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল অ্যালেক্সিস গোমেজ।
সম্পূর্ণ সময়ের শেষে ৩-০ গোলের ব্যবধানে মুম্বাই সিটি এফসির কাছে পরাজিত হয় সাদা-কালো ব্রিগেড। এদিন দলের হয়ে গোল পান যথাক্রমে লালিয়ানজুয়ালা ছাংতে এবং থায়ের ক্রোমা। তবে গৌরব বোরার আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় গতবারের আইএসএল জয়ীরা। শেষ পর্যন্ত এই বিরাট বড় ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নেয় দেশের বানিজ্য নগরীর এই ফুটবল ক্লাব। দলের ফুটবলারদের এমন পারফরম্যান্স নিয়ে যথেষ্ট হতাশ মহামেডান কোচ আন্দ্রে চেরনিশভ। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ” মুম্বই এই ম্যাচের আগে কেমন পারফরম্যান্স করেছিল, সেই নিয়ে আমি খুব একটা ভাবতে চাইনা। তবে আমরা জানি ওরা ইন্ডিয়ান সুপার লিগের অন্যতম সেরা দল। ওদের চাপে রাখার পরিকল্পনাই আমাদের ছিল। কিন্তু প্রথমার্ধ থেকেই সেটা যথেষ্ট কঠিন হয়ে উঠেছিল। ওরা বলের সাথে যথেষ্ট সক্রিয়তা দেখিয়েছিল।”
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ” ম্যাচ শুরু হওয়ার প্রথম কোয়ার্টারের পর থেকেই আমাদের ছেলেরা খেলায় ফিরতে শুরু করেছিল। আমাদের ছেলেরা গোলের সহজ সুযোগ ও পেয়েছিল। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। তারপর আর তেমন ভাল খেলতে পারিনি। তাছাড়া একটা ভুল মানে সেটা বড় ভুল হয়ে যেতে পারে ম্যাচের যেকোন সময়। আজও সেটাই হয়েছে। আজকের ভুলটা যথেষ্ট হতাশাজনক । গোলকিপার ও সেন্ট্রাল ডিফেন্ডারের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির ফল। তারপর থেকে আমরা খেলা থেকে ক্রমশ হারিয়ে গিয়েছিলাম। যার মাশুল দিতে হয়েছে।”