বাংলাদেশে (Bangladesh) গণহত্যা চালানোর মামলায় অভিযুক্ত ক্ষমতাচ্যুত (Sheikh Hasina) শেখ হাসিনা। তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রাইমস ট্রাইবুন্যালে বিচার চলছে। তিনি ভারতে আশ্রিত। এমনই ‘পলাতক’ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোল রেডকর্নার নোটিশ জারি করা নিয়ে সংবাদে চরম বিভ্রান্তি। (What is Bangladesh Police saying after confusion over Interpol notice against Sheikh Hasina?)
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আওয়ামী লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন। তবে এই তথ্যের বিরোধিতা করেছেন বাংলাদেশ পুলিশ সদরদপ্তরের মুখপাত্র এনামুল হক সাগর।
What is Bangladesh Police saying after confusion over Interpol notice against Sheikh Hasina? রেড কর্নার নোটিশ নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের দাবি
বাংলাদেশ পুলিশ জানিয়েছে,’রেড নোটিশ জারির জন্য অনেক আগেই চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তবে সেটি এখনো কার্যকর হয়নি। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি সংক্রান্ত তথ্য আমাদের কাছে নেই।’
সাধারণত কারো বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি হলে তার ছবিসহ ইন্টারপলের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। কিন্তু ইন্টারপোল ওয়েবসাইটের বাংলাদেশ অংশে এখন পর্যন্ত শেখ হাসিনার ছবিসহ নাম নেই। ফলে বিভ্রান্তি চরমে ওঠে।
গত ১০ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাদের গ্রেপ্তারের জন্য ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পুলিশ মহাপরিদর্শককে চিঠি দেন চিফ প্রসিকিউটর মহম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনিই রবিবার (২২ ডিসেম্বর) দাবি করেন নোটিশ জারি হয়েছে। আর পুলিশ কার্যালয় সেই দাবি উড়িয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানিয়েছিলেন শেখ হাসিনাসহ গণহত্যায় অভিযুক্ত পলাতক সব আসামিকে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট নোটিশ জারি করতে যাচ্ছে সরকার।
গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে গণবিক্ষোভের পর শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে চলে যান। তিনি আছেন নয়াদিল্লিতে ভারত সরকারের কড়া নিরাপত্তা বলয়ে। শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ (ফেরত চাইবে) করতে ভারতের কাছে কূটনৈতিকস্তরে আবেদন করবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।
গণবিক্ষোভে হাসিনা জমানা পতনের পর গত ৮ আগস্ট থেকে বাংলাদেশে চলছে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান ও বিভিন্ন ইস্যুতে ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে কটূনৈতিক সম্পর্ক গরম।
শেখ হাসিনাকে কি বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে ভারত সরকার?
এমনই প্রশ্ন উঠছে ঢাকা ও নয়াদিল্লিসহ আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে। দ্বিধাবিভক্ত কূটনৈতিক মহল। আর বাংলাদেশে দাবি উঠেছে গণহত্যা মামলায়. শেখ হাসিনার বিচার করে তাকে মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে।
বিবিসিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবর, শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করে বারবার রাজনৈতিক মন্তব্য করে চলেছেন। তাকে মুখ বন্ধ রাখার বার্তা দেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূস। কূটনৈতিক ইস্যুতে সম্প্রতি ঢাকা সফর করেছেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। তিনি সফর শেষ করে নয়াদিল্লি ফিরে বলেন শেখ হাসিনার কোনও মন্তব্য সমর্থন করে না ভারত।
After the fall of Sheikh Hasina’s regime in mass protests, an interim government led by Nobel laureate Muhammad Yunus has been in power in Bangladesh since August 8. Diplomatic relations between Dhaka and New Delhi are tense over Sheikh Hasina’s stay in India and various issues.
Will the Indian government send Sheikh Hasina back to Bangladesh? Such questions are being raised in international diplomatic circles including Dhaka and New Delhi. The diplomatic circles are divided. And in Bangladesh, demands have been made in the genocide case. Sheikh Hasina should be tried and given the death penalty.