‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ মডেল কেজরিওয়ালের, মহিলাদের জন্য মাসিক আয়, কী প্রতিশ্রুতি দিলেন?

দিল্লিতেও এবার বাংলার মতো ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ মডেল। আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছেন একটি নতুন প্রকল্পের বিষয়ে, যার আওতায় যোগ্য…

AAP supremo Arvind Kejriwal announces monthly wadges for women of Delhi before election

দিল্লিতেও এবার বাংলার মতো ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ মডেল। আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছেন একটি নতুন প্রকল্পের বিষয়ে, যার আওতায় যোগ্য মহিলা উপভোক্তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১,০০০ টাকা জমা করা হবে। আগামী দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের পর এই পরিমাণ ২,১০০-এ বৃদ্ধি করা হবে, যদি আম আদমি পার্টি দিল্লিতে আবার ক্ষমতায় আসে, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। 

অসমের আত্মরক্ষায় ইসরায়েল মডেল চান হিমন্ত

   

কেজরিওয়াল বলেন, “এই প্রকল্পটি আমি মার্চে চালু করতে চেয়েছিলাম, তখন আমি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম। কিন্তু বিজেপি ষড়যন্ত্র করে আমাকে জেলে পাঠায় (বহুল আলোচিত দিল্লি মদ নীতির মামলায়)। আমি যখন জেল থেকে বেরিয়ে আসি, তখন আমি অতিশি জি-র সঙ্গে মিলে কাজ করি, যাতে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হতে পারে।”

এই প্রকল্পের মাধ্যমে, দিল্লির মহিলা নাগরিকদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে, যা তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কেজরিওয়াল আরও বলেন যে, এই স্কিমটি শুধুমাত্র আর্থিক সহায়তা নয়, বরং এটি নারীদের স্বনির্ভরতা এবং ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। 

পশ্চিমবঙ্গে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা জানালেন শুভেন্দু অধিকারী

তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ করেন যে, তাদের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কারণে তিনি তার পরিকল্পনা অনুযায়ী এই প্রকল্পটি শুরু করতে পারেননি। তবে এখন, জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর, তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে, এই প্রকল্পটি চালু করে দিল্লির নারীদের আর্থিকভাবে শক্তিশালী করা হবে।

এই প্রকল্পের আওতায়, যে সমস্ত মহিলা সরকারি সহায়তা পাওয়ার যোগ্য, তারা তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে ₹১,০০০ করে টাকা পাবেন। নির্বাচন পরবর্তী, অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসের পর, এই টাকা ₹২,১০০-এ বৃদ্ধি পাবে, যদি আম আদমি পার্টি দিল্লিতে পুনরায় ক্ষমতায় আসে।

কেজরিওয়াল জানান, এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য শুধু নারীকে আর্থিক সাহায্য প্রদান নয়, বরং তাদের সমাজে একটি শক্তিশালী ভূমিকা নেয়ার সুযোগ করে দেয়া। এর মাধ্যমে, মহিলারা তাদের পরিবারের জন্য আরও সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারবেন এবং তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে।

বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে কেজরিওয়াল আরও বলেন, “তারা যখন আমাকে জেলে পাঠিয়েছিল, তখন তারা জানত না যে আমি আরো শক্তিশালী হয়ে ফিরব। এখন আমি এবং আমার দল অতিশি জির নেতৃত্বে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছি।”

রক্ষে নেই! এবার দামাস্কাসের দরজায় কড়া নাড়ছে ইজরায়েল, ফের ক্ষমতা বদলের আশঙ্কা

এই ঘোষণা দিল্লির নির্বাচনী রাজনীতিতে একটি নতুন দিক উন্মোচন করেছে, যেখানে নারীদের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। কেজরিওয়ালের মতে, এই প্রকল্পটি শুধু আর্থিক সহায়তা নয়, বরং একটি সামাজিক আন্দোলন, যা নারীদের ক্ষমতায়ন করবে এবং তাদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।

অপরদিকে, বিজেপি অবশ্য এই প্রকল্পের প্রতি সমালোচনা প্রকাশ করেছে, এবং তাদের দাবি, কেজরিওয়ালের প্রকল্প শুধুমাত্র নির্বাচনী লাভের জন্য একটি পরিকল্পনা, যা বাস্তবায়নযোগ্য নয়। তবে, কেজরিওয়াল তার পদক্ষেপে দৃঢ় থাকার কথা বলেছেন এবং নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি এবং তার দল এই প্রকল্পটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করবেন।