বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় (Tripura) বাংলাদেশের দূতাবাসে (Bangladesh Assistant High Commission) হামলার ঘটনায় তীব্র কূটনৈতিক বিতর্কের মাঝে পড়েছেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা। তিনি পরে বিবৃতিতে নিন্দা জানান। আগরতলা থাকা বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় তদম্ত শুরু হয়েছে। একাধিক হামলাকারী হিন্দুত্ববাদী গ্রেফতার। কয়েকজন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানাচ্ছে বিবিসি।
বাংলাদেশে এক সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহ অভিযোগে গ্রেফতারের পর থেকে ভারতে ইসকনসহ বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন ও বিজেপি প্রতিবাদ করছে। সেই রেশ ধরে সোমবার (২ জিসেম্বর) আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ চলছিল। সেই হিন্দুত্ববাদী বিক্ষোভকারীরা দূতাবাসে ঢুকে হামলা চালায়।
মুখ্যমন্ত্রী ডা মানিক সাহা বলেছেন, “বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর ব্যাপক আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে কিছু সংখ্যক লোক আগরতলা সার্কিট হাউসের গান্ধী মূর্তির পাদদেশে জড়ো হয়ে শান্তিপূর্ণ ধর্ণা প্রদর্শন করছিলো কিন্তু কিছু যুবক আচমকাই আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনের অফিসে ঢোকার চেষ্টা করে। আমি এই ঘটনার নিন্দা জানাই। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন/প্রতিবাদ চলতেই পারে কিন্তু এই ধরনের আচরণ একেবারেই কাম্য নয়।”
বিবিসি জানিয়েছে, আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে তিনজন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড ও ডিএসপি পদমর্যাদার এক অফিসারকে ‘ক্লোজ’ করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় জড়িত ছিল তা ভিডিও ফুটেজ দেখে খুঁজে বের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে পাঁচ সদস্যের এক বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সোমবার এই হামলার পরপরই ভারতের তরফে দু:খ প্রকাশ করা হয়। তবে বাংলাদেশের বিবৃতিতে বলা হয়, হামলা ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। বাংলাদেশের জারি করা বিবৃতিতে পুলিশ নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলা হয়েছে।
হামলাকারী হিন্দুত্ববাদীরা বাংলাদেশের দূতাবাসের ভিতরে ঢুকে দেশটির জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে দেয় বলে অভিযোগ। বিবিসি’র খবর, ত্রিপুরা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন “পুলিশ যথেষ্ট সংখ্যাতেই ছিল। সহকারী হাইকমিশন পরিসরের ভেতরে বাইরে মিলিয়ে ২৬০ জন ডিউটিতে ছিলেন। কিন্তু গোটা ঘটনা মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ঘটে যায়। আমরা কিন্তু প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বিক্ষোভকারীদের বাধা দিই।”