সবাই খালাস! আদালতের রায় এমনই। কুড়ি বছর আগে ২১ আগস্ট ঢাকায় শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) গ্রেনেড মেরে খুনের চেষ্টা (2004 Dhaka grenade attack) মামলায় ধৃত ও অভিযুক্তদের খালাস করে দিল আদালত।
বিবিসির খবর ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন পাওয়া সব আসামিকে খালাস দিয়েছে হাইকোর্ট। ২০০৪ সালের ২১শে অগাস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে শেখ হাসিনাসহ নেতাকর্মীদের ওপর এ হামলা হয়।এতে দলটির নেতাকর্মীসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন শেখ হাসিনাসহ কয়েকশো নেতাকর্মী।
বিবিসি জানাচ্ছে, বহুল আলোচিত বাংলাদেশে (Bangladesh) ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলায় মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন পাওয়া সব আসামিকে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মামলার রায়ে মুক্তি ঘোষণা করে।
দিল্লিতে এই রায় শুনলেন বাংলাদেশ থেকে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা। রক্তাক্ত গণবিক্ষোভে গত ৫ আগস্ট তিনি ক্ষমতাচ্যুুত হন। সেদিন থেকেই তিনি ভারত সরকারের আশ্রিত।
হাসিনা যখন বাংলাদেশের বিরোধী নেত্রী ছিলেন, সেই ২০০৪ সালে তাঁর উপর গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। তিনি বেঁচে গেছিিলেন। গ্রেনেড ও গুলিবৃষ্টি থেকে হাসিনাকে রক্ষা করতে তার দলীয় নেতা কর্মীরা মানবঢাল করেছিলেন। সেই মুহূর্তটি বিশ্বজুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য ফেলেছিল। সেই গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের তৎকালীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত এবং কয়েকশ আহত হন।
পড়ুন: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: একুশবার বেঁচেছেন হাসিনা, পাক মদতে হুজি-বি ষড়যন্ত্র ছিল ভয়াবহ
আওয়ামী লীগ সরকার চলাকালীন এই গ্রেনেড হামলার তদন্ত হয়। এতে দাবি করা হয় হামলার সময় ক্ষমতায় ছিল বিএনপি জামাত ইসলামি জোট। তদন্তে উঠে আসে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই মদতে হুজি-বি জঙ্গি সংগঠন এই হামলা চালিয়েছিল। তবে বরাবরই এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেন খালেদা জিয়া।
রবিবার আদালত এই মামলায় সবাইকে যাবজ্জীবন খালাস করেছে। গত ৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশে চলছে অন্তর্বর্তী শাসন। এই সরকারের নজরে শেখ হাসিনা তার শাসনে স্বৈরাচারী ছিলেন ও গণহত্যায় জড়িত।