শীঘ্রই নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হবে অ্যান্টি-শিপ ব্যালিস্টিক মিসাইল

DRDO: চিন ও পাকিস্তানের বাড়তে থাকা হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে ভারত সতর্ক রয়েছে। উভয় প্রতিবেশী দেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে এবং তাদের নিজস্ব ভাষায় তাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে, DRDO…

missile representative image

short-samachar

DRDO: চিন ও পাকিস্তানের বাড়তে থাকা হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে ভারত সতর্ক রয়েছে। উভয় প্রতিবেশী দেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে এবং তাদের নিজস্ব ভাষায় তাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে, DRDO একটি দীর্ঘ-পাল্লার জাহাজ-বিরোধী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে। DRDO শীঘ্রই এই দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করতে চলেছে।

   

তথ্য অনুযায়ী, সফল পরীক্ষার পর এই ক্ষেপণাস্ত্রটি 1000 কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে চলা যুদ্ধজাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করতে সক্ষম হবে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি আকাশ ও স্থল থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়। ভারতীয় নৌবাহিনীতে যোগদানের পর নৌবাহিনীর ফায়ার পাওয়ার বাড়বে এবং দূর থেকে শত্রুর জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করা যাবে।

শীঘ্রই চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে
ডিআরডিও বড় পরিসরে এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে। পরীক্ষার পর এটি অপারেশনাল সার্ভিসের জন্যও প্রস্তুত হবে। অ্যান্টি-শিপ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সমুদ্রের মাঝখানে জাহাজগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করতে সক্ষম এবং স্থল বা সমুদ্রে মোতায়েন যে কোনও প্ল্যাটফর্ম থেকে উৎক্ষেপণ করা যেতে পারে। যে কোনো জাহাজকে ধ্বংস করার ক্ষমতা আছে। দেশের পূর্ব উপকূলে এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হবে।

পাকিস্তান ও চিনের হুমকি মোকাবিলার চ্যালেঞ্জ
প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ও চিনের কাছে ইতিমধ্যেই এই অস্ত্র রয়েছে। চিনেও এর বড় স্টোরেজ রয়েছে। কিছুদিন আগে পাকিস্তান তাদের দেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষাও করেছে। এই পরীক্ষার তথ্য দিয়ে পাকিস্তানি নৌবাহিনী বলেছিল যে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি 350 কিলোমিটার দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম এবং স্থল ও সমুদ্র উভয় দিক থেকেই এটি উৎক্ষেপণ করা যেতে পারে। পাকিস্তান ও চিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এই ক্ষেপণাস্ত্রের প্রয়োজন। এর বাইরে হাইপারসনিক মিসাইল তৈরিতেও কাজ করছে DRDO।