পুরভোট ইস্যুতে তৃণমূল ও নির্বাচন কমিশনকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

পুরভোট ইস্যুতে এবার রাজ্যের শাসক দল ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তিরস্কার করল কলকাতা হাইকোর্ট। জলপাইগুড়ি পুরনির্বাচনে নির্দল প্রাথীকে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে না দেওয়ার অভিযোগ…

পুরভোট ইস্যুতে তৃণমূল ও নির্বাচন কমিশনকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

পুরভোট ইস্যুতে এবার রাজ্যের শাসক দল ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তিরস্কার করল কলকাতা হাইকোর্ট। জলপাইগুড়ি পুরনির্বাচনে নির্দল প্রাথীকে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগের তির যায় তৃণমূলের দিকে।

সোমবার আদালত জানায়, হতে পারে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা ভিন্ন,কিন্তু কোনও ব্যক্তি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাইলে তাঁকে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে না দেওয়া গণতন্ত্রের পক্ষে এটা দুর্ভাগ্যজনক। আর রাজ্য সরকার তার দায় এড়িয়ে যেতে পারেন না বলে উল্লেখ করেন বিচারপতি রবি কিষান কাপুর। এই ঘটনায় রাজ্যের হলফনামা তলব করেছে কোর্ট। আগামী ১ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি।

প্রসঙ্গত, গত ৮ ও ৯ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে গিয়ে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হতে হয় জলপাইগুড়ি পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বিক্ষুব্ধ তৃণমূল প্রার্থী মলয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শুধুমাত্র মলয় বন্দ্যোপাধ্যায়ই নয়, মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে গেলে বেশ কয়েকজন নির্দল প্রার্থীর মনোনয়ন পত্রও ছিঁড়ে দেওয়া হয়। আবার এক নির্দল প্রার্থীকে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ কল করে লাগাতার চাপ দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে।

Advertisements

এরপরেই ওই প্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তারপর তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হন।
গত ৮ তারিখ হাইকোর্টের রায় পেয়ে তিনি ফের মনোনয়ন দাখিল করতে গেলে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হন। এরপর বেলা ৩ টে বেজে যাওয়ার পর তাঁকে যেতে দেয় পুলিশ বলে অভিযোগ ওঠে।