বদ্রিনাথে পরাজয়ের পর লক্ষ্য কেদারনাথ, মরিয়া চেষ্টা বিজেপির

কেদারনাথ উপনির্বাচনের (Kedarnath by-election) প্রস্তুতি তুঙ্গে, প্রধান রাজনৈতিক দল, বিজেপি ও কংগ্রেস, তাদের জয় নিশ্চিত করার জন্য সমস্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিজেপি গত দুই মাস…

Kedarnath by-election

কেদারনাথ উপনির্বাচনের (Kedarnath by-election) প্রস্তুতি তুঙ্গে, প্রধান রাজনৈতিক দল, বিজেপি ও কংগ্রেস, তাদের জয় নিশ্চিত করার জন্য সমস্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিজেপি গত দুই মাস ধরে উপনির্বাচনের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, অন্যদিকে কংগ্রেসও তার প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত। ম্যাঙ্গালোর এবং বদ্রিনাথ (Badrinath) উপনির্বাচনে পরাজয়ের পর, বিজেপি এখন কেদারনাথ উপনির্বাচনে (Kedarnath by-election) জয়ী হতে কোনো কসরত ছাড়তে চায় না।

গোপনীয় সমীক্ষার পথে হাঁটছে পদ্ম শিবির। কেদারনাথ উপনির্বাচনে (Kedarnath by-election) নিজেদের প্রার্থীকে শক্তিশালী করতে গোপন জরিপ শুরু করেছে বিজেপি। দলীয় হাইকমান্ড দ্বারা কেদারনাথ এলাকায় একটি বিশেষ দল পাঠানো হয়েছে, যা স্থানীয় জনসমর্থন এবং রাজনৈতিক সমীকরণের মূল্যায়ন করতে শুরু করেছে। বিজেপি সূত্রে খবর, নির্বাচনের তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণার পর দলীয় প্রার্থী বাছাই শুরু হবে, তবে তার আগে অভ্যন্তরীণ জরিপ ও স্থানীয় নেতাদের জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে শক্ত মুখ খোঁজা হচ্ছে।

   

সূত্রের খবর, উপনির্বাচনে বিজেপির অনেক নেতা তাদের দাবি জানিয়েছেন, তবে দল বর্তমানে চার নেতার নাম গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। এই নেতাদের মধ্যে রয়েছেন মহিলা মোর্চার রাজ্য সভাপতি এবং প্রাক্তন বিধায়ক আশা নৌটিয়াল (Asha Nautiyal), প্রয়াত বিধায়ক শৈলরানি রাওয়াতের মেয়ে ঐশ্বরিয়া রাওয়াত (Aishwarya Rawat), কুলদীপ রাওয়াত (Kuldeep Rawat) এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত চণ্ডী প্রসাদ ভাট৷ এর মধ্যে কুলদীপ রাওয়াত (Chandi Prasad Bhatt) ইতিমধ্যেই জনসাধারণের মধ্যে তার প্রচার কার্যক্রম শুরু করেছেন, যার কারণে তার নাম রয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, কংগ্রেসও এই উপনির্বাচনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত এবং আশাবাদী যে বিজেপির সমস্ত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, এই নির্বাচনে তারা জিতবে। কংগ্রেস রাজ্য সভাপতি করণ মহারা তার নির্বাচনী কৌশল প্রকাশ করে বলেন, বিজেপি সরকারের সমস্ত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও কেদারনাথে কংগ্রেসের জয় নিশ্চিত। মহারা অভিযোগ করেন, বিজেপি সরকার নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে এলাকায় বিভিন্ন বিভাগের পাঁচজন ক্যাবিনেট মন্ত্রীকে মোতায়েন করেছে, তবে কংগ্রেসের শক্তিশালী সংগঠন এবং জনগণের সমর্থনে তার দল বিজয়ী হবে।

করণ মহারা আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী গত দুই মাসে কেদারনাথ অঞ্চলে ৩৮টি ঘোষণা করেছেন, কিন্তু এই ঘোষণাগুলি শুধুমাত্র নির্বাচনী কৌশলের একটি অংশ। মহারা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এবং বলেন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। তিনি দাবি করেছেন, কেদারনাথ উপনির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে কংগ্রেসের পক্ষে পরিবেশ রয়েছে।

কংগ্রেস তার প্রচারে স্থানীয় সমস্যাগুলিকে প্রধানত তুলে ধরেছে। মহারা বলেন, ভারত থেকে কৈলাস দর্শন যাত্রার দায়িত্ব প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বসবাসকারী স্থানীয় গ্রামবাসীদের না দিয়ে কুমায়ুন মণ্ডল উন্নয়ন কর্পোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে, যা ভুল। তিনি এটিকে স্থানীয় জনগণের অধিকার লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেন এবং এ বিষয়ে জনগণের মধ্যে ব্যাপক সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করা হচ্ছে।

বিজেপি এবং কংগ্রেস উভয়েই কেদারনাথ উপনির্বাচনকে খুব গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে। যেখানে বিজেপি তার সাংগঠনিক শক্তি এবং মন্ত্রীদের দলকে মাঠে নামিয়ে জয় নিশ্চিত করতে চায়, কংগ্রেস স্থানীয় সমস্যা এবং সরকারী সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে জনসমর্থন অর্জনের কৌশল তৈরি করেছে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর দুই দলের প্রার্থীদের মনোনয়ন ও প্রচার জোরদার হবে।

এই উপনির্বাচনের ফলাফল আগামী সময়ে উত্তরাখণ্ডের রাজনীতিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেবে, কারণ এটি বর্তমান সরকার এবং বিরোধীদের অবস্থানের উপর রাজ্যের জনগণের আস্থা মূল্যায়ন করার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। বিজেপি এবং কংগ্রেস উভয়ই তাদের নিজ নিজ দাবি এবং প্রস্তুতি নিয়ে ময়দানে নামছে এবং জনসাধারণ কোন দলের প্রতি আস্থা রাখে তা এখন দেখার।