তিলোত্তমার বিচার চেয়ে প্রায় তিনদিন ধরে ধর্মতলায় অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়ার চিকিৎসকেরা। পাশে রয়েছেন সিনিয়ার ডাক্তাররাও (Doctor protest)। এর মধ্যে পঞ্চমীর দিন ‘মহামিছিল’-এর ঘোষণা করেছিলেন জুনিয়ার চিকিৎসকরা (Doctor protest)।কিন্তু মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টের সময় কলেজ স্কোয়্যার থেকে ধর্মতলার অনশনমঞ্চ পর্যন্ত মিছিল হবে বলে জানানো হয়েছিল চিকিৎসকদের তরফ থেকে।
কিন্তু সেই মিছিল করার অনুমতি দিল না কলকাতা পুলিশ। এরপর আজ ‘অভয়া’ পরিক্রমাতেও বাধা দেয় পুলিশ। তাঁদের এই মিছিল রুখতে দুটি বাস ও একটি তেলের ট্যাঙ্কার সেই মিছিলের সামনে রেখে দেওয়া হয় যাতে করে সেই মিছিল না যেতে পারে।
বুধবার অর্থাৎ ষষ্ঠীর বিকেলে এমনই ছবি দেখা গেল সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে। গাড়িগুড়ি এভাবে দাঁড়িয়ে থাকায় একে একে আটকে যায় সব গাড়ি। শহরের প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলা কার্যত পুরোপুরি অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। ক্ষোভে ফেটে পড়েন পথচলতি মানুষ।
চালকদের অভিযোগ, সার্জেনরা গাড়িগুলি ডেকে এনে রাস্তার মাঝে দাঁড় করিয়ে চাবি নিয়ে নেন। তেলের ট্যাঙ্কারের চালক বলেন, “চাবি পাচ্ছি না। মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। সিগনাল খোলা ছিল। তাই এসেছি। পুলিশ গাড়ি দাঁড় করিয়ে বলল চাবি দে। আমরা কোনও অন্যায় করিনি। পুলিশকে জিজ্ঞেস করলে বলে, দিতে বলছি দে। যখন বলব তখন গাড়ি ছাড়বি।”