কেন্দ্রীয় তহবিলের অর্থের খতিয়ান চেয়ে মমতাকে চিঠি রাজ্যপাল বোসের

মুখ্যমন্ত্রী বনাম রাজ্যপাল (Chief Minister Vs Governor) সংঘাত এ রাজ্যে নতুন নয়। বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখরের সময় থেকে প্রশাসনিক প্রধান বনাম সাংবিধানিক প্রধানের লড়াই…

Chief Minister Vs Governor

মুখ্যমন্ত্রী বনাম রাজ্যপাল (Chief Minister Vs Governor) সংঘাত এ রাজ্যে নতুন নয়। বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখরের সময় থেকে প্রশাসনিক প্রধান বনাম সাংবিধানিক প্রধানের লড়াই সামনে এসেছে বারবার। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি হোক বা দুর্নীতি একাধিকবার সড়ব হতে দেখা গেছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। এবার ২০২৩২৪ অর্থবর্ষে বিভিন্ন প্রকল্পের অধীনে রাজ্যের বরাদ্দ করা কেন্দ্রীয় তহবিলের ১.৭ লক্ষ কোটি টাকা ব্যবহারের বিষয় তথ্য চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন রাজ্যপাল বোস।

 

   

রাজভবন সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার বেশ কয়েকটি কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) রিপোর্ট বিধানসভায় জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে যার ফলে সরকারপক্ষ সাংবিধানিক দায়িত্ব লঙ্ঘন করেছে বলে চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ২০২৩-২৪ অর্থবছর রাজ্য সরকারকে যে ১.১৭ লক্ষ কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ করেছে তার অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। রাজ্যপালের চিঠিতে যে বিষয়গুলি উল্লেখ রয়েছে তার মধ্যে ২০১৮-১৯ সালে আনুমানিক ৩৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ২০২২- ২৩ অর্থবর্ষে ৪৯ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতি বেড়েছে। যেখানে GSDP ঋণের অনুপাত ৩৫.৬৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৭ দশমিক ৭ শতাংশ উপরে হয়েছে।

 

তিনি আরও উল্লেখ করেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) দ্বারা ছয়টি অডিট রিপোর্ট রাজ্য বিধানসভায় উপস্থাপন করা হয়নি। যার মধ্যে রয়েছে কমপ্লায়েন্স অডিট রিপোর্ট ২০২০-২০২১ স্টেট ফিনান্সেস অডিট রিপোর্ট ২০২১-১০২২, পারফরম্যান্স এবং কমপ্লায়েন্স অডিট রিপোর্ট ২০২১-২০২২ এবং স্টেট ফিনান্সেস অডিট রিপোর্ট ২০২২-২০২৩।

 

তার চিঠিতে, বোস ভারতীয় সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫১ উদ্ধৃত করেছেন, রাজ্যের অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত CAG অডিট রিপোর্টগুলি অবশ্যই রাজ্যপালের কাছে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক বলে উল্লেখ রয়েছে। রাজ্যপাল তারপরে রাজ্য বিধানসভার সামনে তাদের উপস্থাপনা নিশ্চিত করবেন। বোস আরও বলেন সিএজি রিপোর্টগুলিকে বিধানসভায় পেশ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার দায়ী। রাজ্যপাল রাজ্য সরকারকে আর্থিক বিচক্ষণতা এবং স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য মন্ত্রিসভার সামনে তা উপস্থাপন করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতির বিশদ বিবরণ দিয়ে একটি শ্বেতপত্র জারি করার পরামর্শও দিয়েছেন।