চাপ বাড়ছে চিনের, নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য হতে চলেছে ভারত

রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হতে আরও একধাপ এগোল ভারত (India)। আমেরিকা, ফ্রান্সের পর পর এবার স্থায়ী সদস্যপদের জন্য ভারতকে সমর্থন করল ব্রিটেন। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারন…

US UK western countries support of Indias bid for UNSC parmanent membership

রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হতে আরও একধাপ এগোল ভারত (India)। আমেরিকা, ফ্রান্সের পর পর এবার স্থায়ী সদস্যপদের জন্য ভারতকে সমর্থন করল ব্রিটেন। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারন সভায় বক্তৃতা রাখার সময় ভারতকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার (Kier Starmer)। তিনি বলেন, “বর্তমানে নিরাপত্তা পরিষদ সম্প্রসারনের সময় এসে গিয়েছে। বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব অত্যন্ত প্রয়োজন। যেমন এশিয়া থেকে ভারত, জাপান, জার্মান ও ব্রাজিলের স্থায়ী সদস্য রূপে নিরাপত্তা পরিষদে যোগদান প্রয়োজন। নতুন দেশগুলির সংযোজন নিরাপত্তা পরিষদের অচলাবস্থাকে কাটাতে সাহায্যে করবে।” 

বাংলাদেশে গণপিটুনির ভয়ে আতঙ্কিত শাকিব, নিরাপত্তা দিতে পারবে না বিসিবি

   

সম্প্রতি মার্কিন সফরে ভারতকে নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য হতে জোর সওয়াল করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তারপর ফ্রান্সের ইমান্যুয়েল ম্যাক্রনের তরফেও একই কথআ জানানো হয়। আর তারপর দুই বন্ধু দেশের কথা মতোই ভারতের হয়ে জোর সওয়াল করে ব্রিটেন। 

প্রমাণ জমা দিক বিজেপি, খাড়গে ছুঁড়লেন চ্যালেঞ্জ!

তবে এই প্রথম নয় নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হতে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করে আসছে নয়াদিল্লি। কিন্তু অধিকাংশ দেশ সমর্থন জানালেও একমাত্র চিনের ভেটোর কারণেই আটকে যাচ্ছে ভারতের অংশগ্রহণ। কারণ নিয়ম অনুযায়ী পাঁচটি দেশ আমেরিকা, রাশিয়া, ব্রিটেন,ফ্রান্স ও চিন রয়েছে। এছাড়াও অস্থায়ী সদস্য হিসেবে রয়েছে ১০ টি দেশ। এক্ষেত্রে কোনও ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার হলে ১৫ টি দেশের মধ্যে নয়টি দেশের সমর্থন প্রয়োজন। তবে কোনও একটি দেশ ভেটো অর্থ্যাৎ আপত্তি জানালে সেই বিষয়টির বাস্তবায়ন বা কার্যকর হয়না। ভারতের ক্ষেত্রেও এমনটাই হয়ে এসেছে।

বাংলার শিল্পভাবনায় জোয়ার, টেক্সটাইল ক্লাস্টার নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর

বর্তমানে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে কোনঠাসা করেছে আমেরিকাসহ পশ্চিমী দেশগুলি। তাইওয়ান ইস্যুতে বিরোধ বাড়ছে চিনের সঙ্গে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই নিরাপত্তা পরিষদে এমন অবস্থায় রাশিয়া-চিনের ভেটোতে অচলায়তন তৈরি হয়েছে। সেই সমস্য কাটাতেই পরিষদের সম্প্রসারনের আগ্রহী পশ্চিমী দেশগুলি। আর বেশিদিন ভেটো দিয়ে ভারতকে আটকাতে পারবে না বেজিং। তাই সেই কারণেই চিন্তা বাড়ছে চিনের। তবে ভারতের প্রচেষ্টা আগামীতে কতদূর সফল হয় সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে কূটনৈতিক মহল।