আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা শাকিব আল হাসান আতঙ্কিত। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাংসদ ছিলেন শাকিব। তিনি নিজের দেশে (Bangladesh) ফিরতে ভীত। ক্রিকেট জীবন শেষ করার জন্য বাংলাদেশেই শেষ ম্যাচটি খেলতে চান শাকিব। সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন নিরাপত্তা চাই। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে নিরাপত্তা দিতে পারব না।
বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, শাকিবকে নিরাপত্তা দেওয়ার সামর্থ্য আমাদের নেই। এটি সরকারের বিষয়। বিবিসি জানাতে, দেশের মাটিতে টেস্ট কেরিয়ার শেষ করতে চান অলরাউন্ডার শাকিব আল হাসান (Shakib Al Hasan)। এর জন্য যে নিরাপত্তা তিনি চেয়েছিলেন সেটি ক্রিকেট বোর্ডের হাতে নেই বলেই জানাচ্ছে বিসিবি । এ বিষয়ে শাকিবকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে জানান বোর্ড সভাপতি।
গত জুলাই-আগস্ট মাসে রক্তাক্ত গণবিক্ষোভে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকে বিদেশেই আছেন শাকিব। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রীদের অনেকেই দেশত্যাগী। কেউ পালাতে গিয়ে ধরা পড়েছে। হাসিনার আমলে নেতা-মন্ত্রীদের আদালতেই গণপিটুনির ভয়াবহ দৃশ্য সামনে এসেছে। এই কারণে শাকিব ভীত। ক্রিকেট তারকা শাকিব আল হাসান আওয়ামী লীগের হয়ে সাংসদ ছিলেন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। মাত্র ৭ মাসের মাথায় সরকারের পতন হয়। এতে চরম বিপাকে শাকিব আল হাসান।
গণবিক্ষোভ দমনে গুলি চালিয়েছিল পুলিশ ও তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বহু সমর্থক। শত শত নিহত হয়। সরকারের পতনের পর দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তির দাবি উঠেছে। এক বিক্ষোভকারীকে গুলি করে মেরে ফেলার অভিযোগপত্রে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার সঙ্গে আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাংসদ শাকিবের নাম উঠেছে।
সরকার পরিবর্তনের পর বিসিবি সভাপতি পদে বদল এসেছে। দীর্ঘ সময় বিসিবি সভাপতি পদে থাকা নাজমুল হোসেন পাপন আত্মগোপনে। তিনি ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার বিশেষ ঘনিষ্ঠ। হাসিনার সকার পতনের পর ড. ইউনূস নেতৃত্বে চলছে অন্তরর্বর্তী সরকার। বিসিবি সভাপতি পদে এসেছেন ফারুক আহমেদ। তিনি বলেছেন, শাকিব একজন রাজনীতিবিদি, সবাই জানেন, সবকিছু মিলিয়ে সে হয়তো নিরাপদ বোধ করছে না। এটা নিয়ে আমার মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছেন, শাকিব যদি এখান থেকে শেষ টেস্ট খেলতে পারে, ওর মতো আমিও বিশ্বাস করি এর থেকে ভালো কিছু হতে পারে না। শাকিব এ মুহূর্তে তার জীবনের খুব বাজে সময় পার করছে। আমার আসলে খুব বেশি কিছু বলার ছিল না। তাকে বোঝানোর চেষ্টা করিনি। সে মনে করেছে অবসর নেওয়ার এটাই সঠিক সময়। আমি তার সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই। আমার দিক থেকে ওর জন্য খুব বেশি কিছু বলার নেই।