জমি দুর্নীতি মামলায় আরও অস্বস্তিতে সিদ্দারামাইয়া

মাইসুরু নগরোন্নন নিগম বা মুডা দুর্নীতিতে আরও অস্বস্তিতে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী। জমি দুর্নীতির এই মামলায় মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তের সম্মতি দিয়েছিল রাজ্যপাল থবরচাঁদ গহলৌত। সেই সম্মতিকে চ্যালেঞ্জ…

jhdhhd জমি দুর্নীতি মামলায় আরও অস্বস্তিতে সিদ্দারামাইয়া

মাইসুরু নগরোন্নন নিগম বা মুডা দুর্নীতিতে আরও অস্বস্তিতে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী। জমি দুর্নীতির এই মামলায় মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তের সম্মতি দিয়েছিল রাজ্যপাল থবরচাঁদ গহলৌত। সেই সম্মতিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সিদ্দারামাইয়া (Chief Minister Siddaramaiah)। মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর সেই আর্জি খারিজ করে দেয় কর্নাটক হাইকোর্ট।
জমি বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে কংগ্রেস শাসিত কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ও তার স্ত্রী পার্বতী এবং মল্লিকার্জুনের বিরুদ্ধে। মাইসুর-এর অভিজাত এলাকায় স্ত্রীর নামের ১৪ টি জমি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এরপরই তার বিরুদ্ধে হওয়া মামলার তদন্তের সম্মতি দেয় কর্নাটকের রাজ্যপাল গহলৌত। এরপরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সিদ্দারামাইয়া। গত আগস্ট মাস থেকে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে ছবার শুনানি হয় এই মামলার। গত ১২ আগস্ট মামলার রায় দান স্থগিত রেখেছিল হাইকোর্ট। মঙ্গলবার আদালত জানিয়েছে মন্ত্রিসভার পরামর্শ নিয়ে কাজ করাই রাজ্যপালের কর্তব্য। তবে ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে তিনি একক সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সেক্ষেত্রে এই ঘটনাকে ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।
প্রসঙ্গত কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী ও তার স্ত্রী এবং শ্যালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এক সমাজ কর্মী। অভিযোগে উল্লেখ ছিল মুডার জমি বেআইনিভাবে বিলি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যের পাশাপাশি জেলা শাসক ও ভূমি দপ্তরের আধিকারিকরা এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করেন সমাজকর্মী স্নেহময়ী কৃষ্ণ। এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে রাজ্যপালের মুখ্য সচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে চিঠি লেখেন অভিযোগকারী ওই সমাজকর্মী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিলেন কর্নাটকের রাজ্যপাল। মঙ্গলবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে সেই নির্দেশ বহাল থাকায় বেশ অস্বস্তিতে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া।