দুর্গাপুজো শুরু হতে বাকি আর মাত্র কিছুদিন। কিন্তু তার আগেই সবজির বাজারে জিনিসপত্রের দাম পৌঁছেছে আগুন ছোঁয়া। শাকসবজি (Vegetable Price) থেকে শুরু করে অনেকিছুরই এখন দাম আকাশছোঁয়া। আর এর অন্যতম কারণ হল বিভিন্ন জেলায় টানা কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি বিভিন্ন জলাধার থেকে ডিভিসির জল ছাড়া।
আর এই জল ছাড়ার কারণে প্লাবিত হয়েছে বহু এলাকা। বেশিরভাগ জায়গাতেই এখনও পর্যন্ত ফসল, সবজি সব রয়েছে জলের তলায়। এমনকি পরবর্তীকালে জল নামলেও ততদিনে সব সবজিতে পচন ধরে যাবে। এর ফলে বিঘার পর বিঘা আরও নষ্ট হবে সবজি। এই পরিস্থিতিতে চড়া দামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে সবজি-ফসল।
বর্তমানে বাজারে শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কিলো, পটল কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, ঝিঙে ৪০ টাকা, উচ্ছের দাম প্রতি কিলো দরে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। এর পাশাপাশি অন্যান্য সবজির দামও বেশ চড়া রয়েছে। দুর্যোগের কারণে এমন পরিস্থিতিতে শাকসবজির দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল, চন্দ্রকোনা, দাসপুর-সহ বিস্তীর্ণ কৃষি প্রধান এলাকার বাজারেও দেখা যাচ্ছে একই পরিস্থিতি।
এরই মধ্যে মঙ্গলবার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখল টাস্ক ফোর্স। শুধু তাই নয়, সাধারণ মানুষের কাছে সঠিক দামে আনাজ পৌঁছে দিতে রাজ্যে সুফল বাংলার স্টলের সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে। রাজ্যে ৬২৬টি সুফল বাংলার স্টলের মধ্যে কলকাতাতেই রয়েছে ২০০টি স্টল। আর সেই স্টলগুলো থেকে ইতিমধ্যেই সঠিক দামে ফসল কিনতে পারছেন ক্রেতারা।
তবে পুজোর আগে ব্যবসায়ীরা যাতে আর দাম বৃদ্ধি করতে না পারে তার জন্যই টাস্ক ফোর্সের নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। প্রসঙ্গত, সবজির বাজারে দাম নিয়ন্ত্রনের জন্য সোমবার নবান্নে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের নেতৃত্বে একটি বৈঠক হয়েছিল। সেই বৈঠকে অন্যান্যদের সাথে উপস্থিত ছিলেন কৃষি বিপণনমন্ত্রী বেচারাম মান্না।
এর পাশাপাশি একাধিক জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গেও ভিডিও কনফারেন্স করা হয়েছিল। বৈঠক শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, রাজ্যে সুফল বাংলার স্টলের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন বাজার ঘুরে শাকসবজি ও আনাজপাতির দাম দেখবেন টাস্ক ফোর্স। এবার সেই মতোই মঙ্গলবার নিজেদের কাজ শুরু করেন টাস্ক ফোর্স।