নবান্ন অভিযানে ‘সক্রিয়’ শুভেন্দু, অথচ সুকান্ত ‘নিষ্ক্রিয়’ কেন? প্রশ্ন দিল্লির

পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের ডাকা নবান্ন অভিযানে থাকতে চান বলে আগেই জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Subhendu Adhikeri)। সেই মতো মঙ্গলবার দুপুরে নবান্ন অভিযানে পথে নামবেন তিনি। কিন্তু…

পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের ডাকা নবান্ন অভিযানে থাকতে চান বলে আগেই জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Subhendu Adhikeri)। সেই মতো মঙ্গলবার দুপুরে নবান্ন অভিযানে পথে নামবেন তিনি। কিন্তু শুভেন্দু এলেও এই কর্মসূচিতে যোগদান করতে প্রথম থেকেই অনীহা প্রকাশ করেছে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তবে রবিবার কেন্দ্রীয় কমিটির ভিডিও বৈঠকে সুকান্তকেও (Sukanta Majumder) সক্রিয় যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশ পেয়েই নবান্ন আন্দোলনে সক্রিয় হতে চেষ্টা শুরু করেন সুকান্ত (Sukanta Majumder)। 

‘ডেড বডি চাই…’ নবান্ন অভিযান নিয়ে ভয়ঙ্কর ভিডিও বার্তা! গ্রেফতার দুই বিজেপি নেতা

   

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই আন্দোলনের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক। তার ষোল আনা ইন্ধন রয়েছে নবান্ন অভিযানের জন্য। তবে গোটা আন্দোলনকে অরাজনৈতিক কর্মসূচি দেখানোর স্বার্থে শুভেন্দু নিজে হয়তো সেদিনের অভিযানে উপস্থিত থাকবেন না। অন্যদিকে, সুকান্ত ও সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীকে সশরীরে নবান্ন অভিযানে থাকতে বলা হয়নি। দলের কর্মীদের পাঠাতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে সক্রিয় হচ্ছে সঙ্ঘ পরিবারও।

তবে শুভেন্দুর অতি সক্রিয়তাই কী সুকান্তদের নিষ্ক্রিয়তার কারণ? বঙ্গ বিজেপির এই বিভেদ কী এখনও মেটেনি? প্রশ্ন উঠছে এমনই। আর এই ব্যক্তিগত স্বার্থই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মোদী-শাহদের। 

অভিষেকের নাবালিকা কন্যাকে ধর্ষণের হুমকি! পদক্ষেপ পশ্চিমবঙ্গ শিশুসুরক্ষা কমিশনের

অন্যদিকে, নবান্ন অভিযানকে অবৈধ আখ্যা দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। পুলিশের অনুমতি না নিয়ে অভিযানের কর্মসূচি নিয়েছে প্রতিবাদীরা। সোমবার এই বার্তাই দিয়েছে কলকাতা এদিন এডিজি আইন শৃঙ্খলা মনোজ বর্মা বলেন, “নবান্ন চত্বরে কর্মসূচি করতে গেলে পুলিশি অনুমতি লাগবে। অন্য কোথাও কর্মসূচি করতে চাইলে অনুমতি মিলবে। ভিড়ের মধ্যে গণ্ডগোল লাগানোর চেষ্টা দুস্কৃতীদের। সাধারণ মানুষ যাতে এই কর্মসূচি বা জমায়েত এড়িয়ে চলে। প্রতিবাদীরা কোনও তথ্যই জানায়নি পুলিশকে। সুতরাং এটা অনৈতিক।”

কেন্দ্রের বড় পদক্ষেপ, লাদাখে ৫ নতুন জেলার ঘোষণা মোদী সরকারের

পাশাপাশি এডিজি আইনশৃঙ্খলা দঃবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার বলেন, এই অভিযানে মহিলা-ছাত্রদের সামনে রেখে পেছন থেকে দুষ্কৃতীরা উস্কানিমূলক কাজ করবে যাতে পুলিশ প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে ওঠে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই অভিযান নিয়ে ভাইরাল পোস্ট ঘুরছে। আমরা সেগুলি চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। এই ধরনের উস্কানিতে পা দেবেন না। নবান্ন অভিযানের ঠিক আগের দিন রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের এই ‘পর্দাফাঁস’ বিজেপিকে যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।