Durand Cup: মশালবাহিনী বধের নায়ক, ম্যাচ শেষে কী বললেন মানস দুবে

ডুরান্ড কাপের (Durand Cup) কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের আগে সকলের ফেভারিট ছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। কিন্তু ম্যাচ শেষে বদলে গিয়েছে সমস্ত পরিসংখ্যান। কলকাতা ময়দানের অন্যতম…

Shillong Lajong FC Manas Dubey

ডুরান্ড কাপের (Durand Cup) কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের আগে সকলের ফেভারিট ছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। কিন্তু ম্যাচ শেষে বদলে গিয়েছে সমস্ত পরিসংখ্যান। কলকাতা ময়দানের অন্যতম এই প্রধান দলকে পরাজিত করে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে শিলং লাজং এফসি (Shillong Lajong FC)। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হবে শক্তিশালী নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিপক্ষে‌। অর্থাৎ আবারও এক আইএসএল দলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে ফিগো সিন্ডাইদের।

   

কিন্তু তাঁর আগে ইস্টবেঙ্গলের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে জয় আসায় খুশির আমেজ দলের ফুটবলারদের মধ্যে। হিসাব অনুযায়ী দেখলে গত ২০১৬ সালে ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে তাঁরা শেষ বারের মতো হারিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল দলকে। সেই মরসুমে ২-১ গোলের ব্যবধানে জয় পেয়েছিল আইলিগের এই ফুটবল ক্লাব। তারপর কেঁটে গিয়েছে অনেকটা সময়‌। প্রায় আট বছর পর আবারও সেই ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিল শিলং লাজং এফসি।

এবার ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে কলকাতা ময়দানের প্রধান দলকে পরাজিত করল এই ফুটবল ক্লাব। দলের এই জয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দুইটি গোল করেছেন মার্কোস রুডওয়ার জেনার সিলভা এবং ফিগো সিন্ডাই। তবে শুধুমাত্র এই দুই ফুটবলার নয়। দলের জয়ের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সক্রিয়তা দেখিয়েছেন তাঁদের গোলরক্ষক মানস দুবে। গত জুলাই মাসের শুরুতে ডেম্পো স্পোর্টস ক্লাব থেকে শিলং লাজং এফসিতে যোগদান করেছেন এই তরুণ ফুটবলার।

তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত দুইটি ম্যাচ খেলেছেন এই ডুরান্ড কাপে। যেখানে একটি গোল হজম করার পাশাপাশি একটিতে ক্লিনশিট রয়েছে বছর বাইশের এই গোলরক্ষকের। বুধবারের ম্যাচে লাজং প্রথমদিকে এগিয়ে থাকলেও পরবর্তীতে যথেষ্ট চাপ বাড়াতে থাকে প্রতিপক্ষ দল। বারংবার গোলপোস্টের দিকে শট নেন নন্দকুমার সেকার থেকে শুরু করে ক্লেটন সিলভা ও মাদিহ তালালরা।

একবার পরাজিত হতে হলেও ম্যাচের অধিকাংশ ক্ষেত্রে নজর কেড়েছেন তিনি। নাহলে অনায়াসেই বড় ব্যবধানে ম্যাচ জিততে পারতো ইস্টবেঙ্গল। এই দুরন্ত পারফরম্যান্সের ফলেই ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হিসেবে নির্বাচিত করা হয় মানস দুবেকে‌। পরবর্তীতে তিনি বলেন, ‘প্রথমে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের দলের সকল ফুটবলার ও সকল সমর্থকদের। যারা আমাদের সমর্থন করেছেন। পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে আমি বিশ্বাস করি যে নিজের সেরাটা দিতে পেরেছি। দলের সকলেই ম্যাচের পুরো সময় অব্দি লড়াই করেছে। সেখান থেকেই জয় এসেছে।’