বাংলাদেশ ‘ধাক্কা’ খেয়ে মালদ্বীপে ছুটলেন জয়শঙ্কর

গঅভুত্থানে শেখ হাসিনার পতন হয়েছে বাংলাদেশে (Bangladesh)। নিজের দেশ ছেড়ে তিনি আশ্রয় নিয়েছেন ভারতে। এদিকে ‘ভারতবন্ধু’ হাসিনার পতন হতেই প্রতিবেশী দেশের শাসন ক্ষমতায় এসেছে বিএনপি-জামাত…

Foreign Minister Jaishankar going to visit Maldives

গঅভুত্থানে শেখ হাসিনার পতন হয়েছে বাংলাদেশে (Bangladesh)। নিজের দেশ ছেড়ে তিনি আশ্রয় নিয়েছেন ভারতে। এদিকে ‘ভারতবন্ধু’ হাসিনার পতন হতেই প্রতিবেশী দেশের শাসন ক্ষমতায় এসেছে বিএনপি-জামাত শিবির। যা ভারতের জন্য যথেষ্ট উদ্বেগের। প্রতিবেশী দেশে এই ধরনের চরম ভারত বিরোধী সরকার নয়াদিল্লির চিন্তা বাড়াতে যথেষ্ট বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

পূর্বের প্রতিবেশী একরকম ‘হাতছাড়া’ হতেই এবার দক্ষিণে ভারত মহাসাগরে নজর দিয়েছে সাউথ ব্লক। প্রতিবেশী মালদ্বীপ সফরে গেলেন বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর।

   

অশান্ত বাংলাদেশে খুনের ভয়ে কাঁপছেন বিসিবি সভাপতি, মহিলা বিশ্বকাপ অনিশ্চিত

গতবছর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে তিক্ততার পর সম্প্রতি ভারতের সম্পর্ক উন্নতিতে জোরদার চেষ্টা করছে মালদ্বীপ। মুম্বাইতে ‘ওয়েলকাম ইন্ডিয়ান’ নামে একটি পর্যটন প্রচারও করছে মালদ্বীপ প্রশাসন। তার কারণ ভারতীয় পর্যটকদের মালদ্বীপ বয়কট। গতবছর দ্বীপরাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসার পরই ভারত বিরোধিতার সুর চড়াতে থাকেন প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মইজ্জু। মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় নৌসেনা প্রত্যাহার থেকে মোদীকে ইজরায়েলের ‘পুতুল’ বলতে পিছুপা হয়নি তাঁর সরকার। পরে ভারতের তীব্র আপত্তিতে তিন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করে দ্বীপ রাষ্ট্রের প্রশাসন।

এই তিক্ততার জেরে মালদ্বীপ বয়কটের ডাক দিলেই ধীরে ধীরে পর্যটক কমতে থাকে দ্বীপ রাষ্ট্রে। ধাক্কা খায় সেদেশের প্রধান আর্থিক ক্ষেত্র পর্যটন। ক্ষতির মুখে পড়ে ঘরোয়া রাজনীতিতে ইতিমধ্যে কোনঠাসা মইজ্জু সরকার। অন্যদিকে, চিনকে কাছে পেতে গিয়ে বিপদের আঁচ পেতে শুরু করে ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্রটি।

হঠাত্ অচেনা জাহাজ দেখলেই সতর্ক হবেন! সুন্দরবন উপকূলে কড়া নজর কোস্টগার্ডের

অন্যদিকে, বাংলাদেশকে হারিয়ে কূটনৈতিকভাবে বড় ধাক্কা খেল ভারত। তাই আঞ্চলিক প্রভাব ও নিরাপত্তার প্রশ্নে দক্ষিণের ছোট্ট প্রতিবেশীর গুরুত্ব বাড়ল নয়াদিল্লির কাছে। ভারতের জন্য আঞ্চলিক নিরাপত্তা আর মালদ্বীপের কাছে ভারতের বিনিয়োগ ও পর্যটক। এই দুই স্বার্থের প্রেক্ষিতেই দুই প্রতিবেশী ফের কাছাকাছি আসছে। এমনটাই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, এই সফরে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক শক্তিশালী করার দিকেই নজর রাখা হচ্ছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পর্যালোচনার পাশাপাশি দু’দেশের স্বার্থের দিকগুলি চিহ্নিত করা হবে। বাণিজ্য সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরও হতে পারে এই সফরে। যা দু’দেশের সম্পর্কে ইতিবাচক দিশা দেখাতে পারে। প্রেসিডেন্ট মুইজ়্জ়ুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎও করবেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী।

আরজিকরে তরুণী চিকিত্সক খুনে ধৃত ১, রুজু ধর্ষণের মামলা

এবার বাজেটে ভারত তাঁর প্রতিবেশী দেশগুলির জন্য অর্থ বরাদ্দ করে থাকে। তবে এবার মালদ্বীপের জন্য সেই বরাদ্দ কমিয়ে মাত্র ২০০ কোটি টাকা করা হয়েছে। তারপরেই মালদ্বীপ বিপদ আঁচ করতে পেরেছে বলে মনে করেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা। অন্যদিকে, চিনকে দক্ষিণ এশিয়ায় ঠেকাতে নয়াদিল্লি কী পদক্ষেপ নেয় সেটাই দেখার।